Advertisment

দেরাদুন থেকে দিল্লি, প্রথমবার দেশে জৈব-জ্বালানিতে উড়ল বিমান

জৈব পদার্থ পচিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই তেল। যার মধ্যে রয়েছে কৃষি অবশিষ্টাংশ, অভোজ্য তেল, কলকারখানার জৈব পদার্থ, পুরসভার বর্জ্য পদার্থ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
spicejet_759

এয়ারলাইন সূত্রের খবর দেরাদুন থেকে দিল্লি পৌছাতে সময় নিয়েছে ২৫ মিনিট।

জৈব-জ্বালানিতে বিমান আদৌ সঠিকভাবে উড়তে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন স্পাইসজেট এয়ারক্রাফ্টের অভিজ্ঞ অফিসাররা। তবে সে চিন্তার অবসান ঘটল। আকাশে উড়ে এদিন সকালে সফলভাবে এয়ারপোর্টে নামল বিমানটি।

Advertisment

জৈব জ্বালানিতে বিমান উড়িয়ে মাইলস্টোন গড়ল এয়ারক্রাফ্ট (Bombardier Q-400)। লক্ষ্য, খরচ কমানো। বিমানটির সিট সংখ্যা ৭২, জৈব জ্বালানিতেই দেরাদুন থেকে উড়ে দিল্লি রুট ধরেছিল বিমানটি। স্পাইসজেট থেকে বলা হয়, জৈব পদার্থ পচিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই তেল। যার মধ্যে রয়েছে কৃষি অবশিষ্টাংশ, অভোজ্য তেল, কলকারখানার জৈব পদার্থ, পুরসভার বর্জ্য পদার্থ। দূষন মুক্তির পাশাপাশি অনেক খরচ কমাতে সাহায্য করবে জৈব-জ্বালানি। আজকের ট্রায়ালের আগে বেশ কয়েকমাস ধরে দেরাদুনে অবস্থিত ভারতীয় ইনস্টিটিউট অব পেট্রোলিয়ামে চলছিল পরীক্ষা নিরীক্ষা।

উত্তরাখন্ডের মূখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াতের পতাকা ওড়ানোর পর, দেরাদুনের জলি গ্র্যান্ট এয়ারপোর্ট থেকে টেক অফ করে বিমানটি। স্পাইসজেটের DGCA সহ বিমানে যাত্রী ছিলেন ২০ জন। এয়ারলাইন সূত্রের খবর, দেরাদুন থেকে দিল্লি পৌঁছতে সময় লেগেছে ২৫ মিনিট।

যখন বিমানটি নেমে আসে, তখন দিল্লি বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু, ধর্মেন্দ্র প্রধান, ড.হর্শ বর্ধন এবং জয়ন্ত সিনহা। ছত্তিশগড়ের পাঁচশো কৃষক পরিবার আজকের ফ্লাইটে সংশোধিত জৈব জ্বালানি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।

জৈব জ্বালানির ব্যবহারে উৎসাহ দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও। ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নতুন জৈব জ্বালানি ব্যবহারের নীতি ঘোষণা করেন এবং আজ বলেন বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এটি সফলভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। বায়োডিজেল এবং এথানলের উপর হ্রাস করা হবে জিএসটি। চলতি বছরের আগস্টেই সরকার সামনে এনেছে ভারতের 'ন্যাশনাল পলিশি অন বায়োফুয়েলস ২০১৮'। ভবিষ্যতে ভারতের জন্য জৈব জ্বালানি হয়ে উঠতে চলেছে এক বিকল্প। যেটি অনেকাংশে হ্রাস করবে দূষণ।

স্পাইসজেট চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় ​​সিং বলেন, "এটি প্রতি বিমানে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া হ্রাস করবে।" এখনও পর্যন্ত কোন উন্নয়নশীল দেশ পরীক্ষা করেনি জৈব জ্বালানি চালিত বিমান। যদিও বেশ কিছু উন্নত দেশ ইতিমধ্যেই এনেছে সমগোত্রীয় জ্বালানি চালিত বিমান। দেশগুলির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

airlines
Advertisment