New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/07/aQJ6OAvHQ5xuMj093YWS.jpg)
এসি-তে ভুল গ্যাস ভরার মর্মান্তিক পরিণতি, প্রবল বিস্ফোরণ, মৃত্যু...! মামলা দায়ের নৌবাহিনীর
এসি-তে ভুল গ্যাস ভরার মর্মান্তিক পরিণতি, প্রবল বিস্ফোরণ, মৃত্যু...! মামলা দায়ের নৌবাহিনীর
INS Ranvir Air Conditioner Blast: এসি-তে ভুল গ্যাস ভরার মর্মান্তিক পরিণতি, প্রবল বিস্ফোরণ, মৃত্যু...!২ বছর পর মামলা দায়ের করল নৌবাহিনী
দিনটি ছিল ২০২২ সালের জানুয়ারি! মুম্বই নৌ ডকইয়ার্ডে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস রণবীরে প্রবল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে দুর্ঘটনায় তিন সেনার মৃত্যু হয়। ১১ জন আহত হন।
এই ঘটনার পর দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে নৌবাহিনী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে। দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়া, গত বছর সম্পন্ন হয়েছে। এরপর মামলা দায়ের করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। অবশেষে, ২রা মার্চ, নৌবাহিনী কোলাবায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্তে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তা শুনে হাড় হিম হতে বাধ্য। আইএনএস রণবীরে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা মূলত এসিতে ভুল গ্যাস ভরার কারণেই ঘটে। এই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, নৌবাহিনী গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন, নৌবাহিনীর বোর্ড দেখতে পায় যে গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিটি ফ্রিয়ন কনডেন্সারে প্রয়োজনীয় R22 গ্যাসের পরিবর্তে ফ্রিয়ন R152a গ্যাস সরবরাহ করেছিল, যার ফলে জাহাজের এসিতে প্রবল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি, বিকেল ৪:৩০ থেকে ৫:০০ টার মধ্যে, বিস্ফোরণটি ঘটে। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তার অভিযোগে বলেছেন যে জাহাজটিতে যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তখন তিনি ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। তদন্তে জানা যায় যে বিস্ফোরণটি এসি কম্পার্টমেন্টে ঘটেছিল, যেখানে এসি প্ল্যান্টটি দুই মাস ধরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। ঘটনার আগে, সমস্ত গ্যাস এসি প্ল্যান্টের কনডেন্সারে সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং সমস্ত কনডেন্সার ভালভ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া, ওই বগিতে অন্য কোনও যন্ত্রপাতি ছিল না যা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
তদন্ত চলাকালীন সময় ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা সংগ্রহ করে দিল্লির সেন্টার ফর ফায়ার, এক্সপ্লোসিভস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (CFEES) এবং IIT পোওয়াইতে পাঠানো হয়েছিল। উভয় স্থানেই R152 গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এই রিপোর্ট সামনে আসার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর সমস্ত যুদ্ধজাহাজে এসিতে ব্যবহৃত গ্যাস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে ভুল করেও এমন ঘটনা আবার না ঘটে। আইএনএস রণবীর একটি ধ্বংসকারী যুদ্ধজাহাজ। এর ওজন ৪০০০ টন। সেখানে ৩০ জন অফিসার ছিলেন।