বিভিন্ন ব্র্যান্ড যতই স্মার্ট ফোন নিয়ে আসুক নাকেন, আইফোনের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। নজরকাড়া স্পেসিফিকেশন এবং দুর্দান্ত ডিজাইনের এই মডেলগুলির চাহিদা দিন-কে-দিন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু দাম একটু চড়া হওয়ায় সাধ থাকলেও অনেকেরই ডিভাইসগুলি পকেটস্থ করার সাধ্য থাকে না। তাই iPhone কেনার জন্য অনেক মানুষই বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটগুলির দিকে অধীর অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকেন, এবং কোনো সেলে দুর্দান্ত ছাড় পাওয়া গেলেই ঝটপট সেটি কিনে ফেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। আপনিও যদি সাশ্রয়ী মূল্যে একটি iPhone-এর সন্ধানে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য রয়েছে একটি দারুণ সুখবর।
বর্তমানে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্ট (Flipkart) এবং অ্যামাজন (Amazon)-এ iPhone 12, iPhone 12 mini, এবং iPhone 11 সহ বেশ কয়েকটি আইফোন মডেল বিশাল ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই প্রতিবেদনে আমরা মূলত আইফোন ১১ (iPhone 11) নিয়েই আলোচনা করব। উভয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মেই ডিসকাউন্টের পাশাপাশি iPhone 11-এর ওপর এক্সচেঞ্জ অফার উপলব্ধ। আসুন জেনে নেই এখন কত কমে আপনি iPhone 11 কিনতে পারবেন।
ফ্লিপকার্টে আইফোন ১১-এর কালো এবং লাল রঙের ৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি ৫৯,৯৯৯ টাটার বদলে ৪৯,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে ফোনটির ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টগুলি এখন ফ্লিপকার্টে উপলব্ধ নেই। ডিসকাউন্ট ছাড়াও ফ্লিপকার্ট এই ডিভাইসে ব্যাংক অফার এবং এক্সচেঞ্জ অফার দিচ্ছে। কেউ একটি পুরোনো ফোন এক্সচেঞ্জ করতে চান, তবে সেক্ষেত্রে ১৫,৪৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
অন্যদিকে অ্যামাজনও নিয়ে এসেছে দারুণ অফার। অ্যামাজনে লাল ও সবুজ রঙের আইফোন ১১-এর ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি ৬২,৯০০ টাকায় কেনা যাবে। ছাড়ের পাশাপাশি, অ্যামাজন এই ফোনের ওপর এক্সচেঞ্জ অফার এবং ব্যাংক অফারও দিচ্ছে। এক্সচেঞ্জ অফারের সাহায্যে ক্রেতারা তাদের পুরোনো স্মার্টফোন বদলে আরও কমে আইফোন ১১ কেনার সুযোগ পাবেন। তবে গ্রাহকদের প্রথমে তাদের এলাকার পিনকোড এন্টার করতে হবে এবং অফারটির উপলব্ধতা চেক করতে হবে। ক্রেতারা এক্সচেঞ্জ অফারের মাধ্যমে ১৪,৯০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। এছাড়াও থাকছে একাধিক ব্যাঙ্ক অফারও।
অন্যদিকে এক ধাক্কায় অনেকটাই দাম কমল আইফোন ১২ সিরিজের জনপ্রিয় দুই ফোনের। সেই ফোন দুটি হল আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি। অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট দুই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকেই এই আইফোন মডেল দুটির দাম কমানো হয়েছে। প্রায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত সস্তা হয়েছে ফোন দুটি, যদিও তা নির্ভর করছে বিশেষ মডেলের উপরে। প্রসঙ্গত, আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি এই দুটি ফোনেই রয়েছে অ্যাপলের বায়োনিক চিপ, যা ৪জি এবং ৫জি এলটিই কানেক্টিভিটি অফার করে।
এই মুহূর্তে সস্তা হওয়ার পরে আইফোন ১২ মিনি-র ৬৪জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ফ্লিপকার্টে ৪০,৯৯৯ টাকা। আবার অ্যামাজন থেকে এই ফোনের একই স্টোরেজ মডেলের দাম ৫৩,৯০০ টাকা। এমনিতে মার্কেটে অর্থাৎ বিভিন্ন রিটেল আউটলেটে এই ফোনের দাম ৫৯,৯০০ টাকা। ফ্লিপকার্টে আবার এই ফোনের ১২৮জিবি ভার্সনেও ছাড় দিয়ে ৫৪,৯৯৯ টাকা করা হয়েছে। অ্যামাজন ও বিভিন্ন রিটেল স্টোরে এই মডেলে দাম সেখানে ৬৪,৯০০ টাকা।
ডুয়াল সিম সাপোর্টেড এই দুটি ফোনেই রয়েছে অ্যাপলের এ১৪ বায়োনিক চিপ। সুপার রেটিনা XDR OLED ডিসপ্লে রয়েছে এবং যা অ্যাপলের সিরামিক শিল্ড গ্লাস দ্বারা সুরক্ষিত। এদের মধ্যে আইফোন ১২ মডেলে রয়েছে একটি ৬.১ ইঞ্চির স্ক্রিন। আবার আইফোন ১২ মিনি ফোনটিতে একটি ৫.৪ ইঞ্চির অপেক্ষাকৃত ছোট ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপলের ওয়্যারলেস চার্জারের ম্যাগসেফ চার্জিং সাপোর্ট করলেও দুটি ফোনের বক্সের সঙ্গে কোনও চার্জার অফার করে না অ্যাপল।
২০২০ সালে এই ফোন দুটি লঞ্চ হওয়ার সময়ে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ছিল আইওএস ১৪। পরবর্তী ২০২১ সালে আইওএস ১৫ আপডেট পেয়ে যায় ফোন দুটি। আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি দুটি মডেলেই রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা। এই ক্যামেরা সেটআপে রয়েছে একটি আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেন্সর এবং একটি ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। এদের অ্যাপার্চার যথাক্রমে f/১.৬ এবং f/২.৪।