ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) বৃহস্পতিবার পরবর্তী চন্দ্র অভিযানের দিন ঘোষণা করল। আগামী ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ বন্দর থেকে চন্দ্রযান-৩ রওনা দেবে। এই প্রসঙ্গে ইসরো টুইট করেছে, তাদের নতুন হেভিলিফ্ট লঞ্চ ভেহিকেল LVM-3 রকেট চন্দ্রযান-৩ কে মহাকাশে নিয়ে যাবে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দুপুর ২টো ৩৫ নাগাদ মহাকাশে চন্দ্রযান রওনা দেবে। চন্দ্রযান-৩ এর এই অভিযানের মাধ্যমে চন্দ্রের পৃষ্ঠদেশে থাকা পদার্থ, চন্দ্রে কম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের পরিবেশ এবং চন্দ্রে অবতরণ স্থানের আশেপাশের বিভিন্ন পদার্থের মৌলিক গঠনগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করবেন।
যদি ল্যান্ডার এবং রোভার, এই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো চাঁদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, তবে অন্য একটি পরীক্ষামূলক যন্ত্র চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালি-পোলারিমেট্রিক দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করবে। ইসরো কর্তারা এখন থেকেই যে পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন, 'চাঁদ থেকে বিজ্ঞান'। এই মহাকাশযান চন্দ্রের কক্ষপথের ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে চন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করবে। তবে এই ব্যাপারে গবেষণা ইতিমধ্যেই চলছে। আর, তা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। তাদের যান চন্দ্রের চারপাশে ঘুরছে। আর, বর্ণালি-সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করছে।
আরও পড়ুন- চিন থেকে সরছে, তাইওয়ানের সংস্থাগুলোর নতুন গন্তব্য এখন মুম্বই!
চলতি বছরের মার্চে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান সফলভাবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো শেষ করেছে। আর, তখনই মহাকাশযানটি তার উৎক্ষেপণের সময় যে কম্পন এবং শব্দের মুখোমুখি হবে তা, সহ্য করার পরীক্ষায় পাশ করেছে। এই পরীক্ষাগুলো বেশ কঠিন ছিল। চন্দ্রযান-৩ কে মহাকাশযান LVM3 (লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-III নামেও পরিচিত, আগে জিএসএলভি এমকে III ছিল এর নাম) দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হবে। এই চন্দ্রযানের তিনটি অংশ- প্রপালশন, ল্যান্ডার এবং রোভার। এই চন্দ্রযানকে এমনভাবে বানানো হয়েছে যে এর চন্দ্রের পৃষ্ঠে নামার ক্ষমতা রয়েছে। আর, এর রোভার সেখান থেকে বেরিয়ে চলতে চলতেই চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করবে।