চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রবিবার মধ্যরাতে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২। এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্যের সন্ধান করা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই দক্ষিণাংশেই মিলতে পারে জল ও জীবাশ্মের সন্ধান। চাঁদের এই অঞ্চলের মাটি কেমন, সেখানে বরফের পুরু স্তর বা তরল জলের ধারা আদৌ উপস্থিত কি না তা খুঁজে দেখাই চন্দ্রযান-২-এর মূল উদ্দেশ্য।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার রাত ২ টো ৫১ মিনিটে পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে উড়ে যাবে চন্দ্রযান-২। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৬ মিনিট পর মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে (অর্বিট) পৌঁছে যাবে মহাকাশ যানটি। অর্বিটার, বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান- এই তিনটি মডেল থাকছে মহাকাশযানটিতে। অর্বিটারটি থাকবে চাঁদের উপরের অংশে। সেখান থেকে বিভিন্ন খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করা হবে। বিক্রম অর্থাৎ ল্যান্ডারটি চাঁদের ভূমিকম্প এবং তাপমাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জারি রাখবে। পাশাপাশি, রোভারটি চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চন্দ্র অভিযানে নাম লিখিয়ে ফেলল ইসরো। এর আগে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর উৎক্ষেপন করা হয়েছিল চন্দ্রযান -১।
বিজ্ঞনীদের মতে, ল্যান্ডারটি সেপ্টেম্বরের শুরুতে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ স্পর্শ করবে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে চন্দ্রযান-২ পৌঁছলে, মহাকাশ যান পাঠানোয় চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে ভারতের নাম।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতের এই উৎক্ষেপণ সরাসরি সম্প্রচার করবে দূরদর্শন চ্যানেল। এছাড়া, ইউটিউবেও দূরদর্শনের চ্যানেলে লাইভ দেখা যাবে সম্পূর্ণ উৎক্ষেপণ পর্ব।
উল্লেখ্য, যে রকেটে চড়ে চন্দ্রযান-২ চাঁদে পাড়ি দেবে, সেই 'GSLV' মার্ক থ্রি এই মূহুর্তে ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেট। চন্দ্রযান-২-এর এই অভিযানে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা। ভারতের বুকেই বানানো হয়েছে চন্দ্রযান-২। এর মোট ওজন ৩.৮ টন। GSLV'মার্ক থ্রি বহন ক্ষমতা ৪ টন।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাত থেকে সোমবার কাকভোর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে যাওয়া প্রতিটি বিমানের রুট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বদল করা হয়েছে বেশ কিছু বিমানের সময়সূচিতেও।
Read the full story in English