ISRO Chandrayaan 5 Moon Mission: ফের চন্দ্র অভিযানের লক্ষ্যে আরও এককদম এগোল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন রবিবার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন প্রদান করেছেন। ইসরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মাত্র তিন দিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন পেয়েছে ইসরো বলেও জানান ইসরো প্রধান। এই মিশনে ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে জাপান। চন্দ্রযান-৩ মিশনে ২৫ কেজি ওজনের একটি রোভার (প্রজ্ঞান) বহন করা হয়েছিল, আর চন্দ্রযান-৫ মিশনে চন্দ্র পৃষ্ঠ পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ২৫০ কেজি ওজনের একটি রোভার বহন করা হবে।
ভবিষ্যৎ প্রকল্প সম্পর্কে নারায়ণন বলেন যে, ২০২৭ সালে উৎক্ষেপণ করা চন্দ্রযান-৪ মিশনের লক্ষ্য হল চাঁদের মাটির নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। গগনযান সহ অনেক মিশনের পাশাপাশি, মহাকাশে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চন্দ্রযান-৪ মিশন অনুমোদিত হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভা চন্দ্রযান-৪ মিশন অনুমোদন করেছিল। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল চাঁদে একটি মহাকাশযান অবতরণ করা, চাঁদের মাটি এবং পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা এবং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এই মিশনে জন্য খরচ হবে ২১০৪ কোটি টাকা। এই মহাকাশযানে পাঁচটি ভিন্ন মডিউল থাকবে। অন্যদিকে, ২০২৩ সালে চাঁদে পাঠানো চন্দ্রযান-৩-এর তিনটি মডিউল ছিল - প্রোপালশন মডিউল (ইঞ্জিন), ল্যান্ডার এবং রোভার।
চন্দ্রযান-৪ মিশনটি বেশ কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানোর পর, দুটি মডিউল মূল মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। উভয় মডিউলই চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। ইসরো বিজ্ঞানীরা চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি রোবট প্রস্তুত করছেন। নমুনা সংগ্রহের জন্য কন্টেইনার এবং ডকিং প্রক্রিয়ার প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে।
অপরদিকে ভারতের মহাকাশ স্টেশনে পাঁচটি মডিউল থাকবে। প্রথম মডিউলটি ২০২৮ সালে চালু হবে। এর নকশার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তা অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনটি হবে মহাকাশে মহাকাশচারীদের আবাসস্থল। ইসরো ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর জন্য কাজ করছে। বর্তমানে, আমেরিকাই একমাত্র দেশ যারা চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে। চিন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে তার নভোচারী পাঠানোর জন্যও কাজ করছে।