আরেক মাইলস্টোন পার করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। ঘড়িতে তখন নটা বেজে পঁচিশ মিনিট, প্রথমবার রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে ভোর রাত থেকে ভিড় জমেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার স্পেস সেন্টারে। সে সময় মহাকাশে পাড়ি দিল পিএসএলভি-সি ৪৫। এদিন সকালে লিথুয়ানিয়া ও স্পেনের ২৮টি স্যাটেলাইট এবং ডিআরডিও-র এমিস্যাট নিয়ে রওনা দিয়েছে দ্য পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল। যা ইসরোর ইতিহাসে প্রথম। একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ তাদের কক্ষপথে যথাস্থানে স্থাপন করবে এই মহাকাশযান।
আরও পড়ুন: ইসরোর PSLV-C42 কী?
ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজ্যান্স স্যাটেলাইট, এমিস্যাট। যার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের র্যাডার চিহ্নিত করে তাকে ধ্বংস করবে ডিআরডিও-র এই কৃত্রিম উপগ্রহ । ঠিক ছ'দিন আগে মহাকাশে 'মিশন শক্তির' মাইলফলক পেরিয়েছে ভারত। এর ওজন ৪৩৬ কেজি। দৈর্ঘ্যে ৫০ মিটার। ২৭ ঘণ্টা কাউন্টডাউনের পর শ্রীহরিকোটার স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশে উড়ে যায় রকেটটি। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রওনা দেওয়ার ১৭ মিনিটের মধ্যেই এমিস্যাটকে যথাস্থানে পৌছে দিতে সফল হয়েছে পিএসএলভি-সি ৪৫।
কৃত্রিম উপগ্রহ এমিস্যাটের কাজ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পরিমাপ করা। পিএসএলভি-সি ৪৫ স্যাটেলাইটগুলিকে নির্দিষ্ট তিনটি কক্ষপথে পৌঁছে দেবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ থেকেই কাজ শুরু করবে কিছু স্যাটেলাইট। জানা যাচ্ছে, জাহাজ থেকে প্রেরিত বার্তা সহজে ক্যাপচার করতে সাহায্য করবে। ইসরোর চেয়ারম্যান কে মাধবন নায়ার বলেন, "উৎক্ষেপণেরর আগের রাত অবধি উৎক্ষেপণ ঘিরে আশঙ্কা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের। এটাই ভারতের প্রথম থ্রি-অরবিট মিশন। আমরা আশা করছি সম্পূর্ণ সফল হব আমরা। শুধু যে নিজের দেশের স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে পিএসএলভি-সি ৪৫ এমনটা নয়, রয়েছে অন্যান্য দেশের স্যাটেলাইটও।"
Read the full story in English