Advertisment

আর্মস্ট্রংয়ের জন্মদিনেই বিরাট সাফল্য ইসরোর! দেখুন কোথায় পৌঁছে গেল চন্দ্রযান ৩

সব ঠিকঠাক থাকলে ২৩ আগস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে পারে মহাকাশযান। তার আগে চারবার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে এই মহাকাশযান। চাঁদের চারদিকে ঘোরার মধ্যে দিয়েই ভেসে ক্রমশ তার কাছাকাছি পৌঁছবে চন্দ্রযান ৩।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ISRO's Launch Vehicle Mark-III

ইসরোর লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-III (এলভিএম৩) এম৪ রকেট 'চন্দ্রযান-৩' বহনকারী শ্রীহরিকোটাতে, শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩-এ সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের লঞ্চপ্যাড থেকে উঠছে।

উৎক্ষেপণের প্রায় একমাস পর, ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযানের চন্দ্রযান-৩, শনিবার সফলভাবে চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এর জন্য যা কারিগরি ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল, তা বেঙ্গালুরুর ইসরো কেন্দ্র থেকেই করা হয়েছে। আর, তার ফলেই চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করল। বেঙ্গালুরুর এই মিশন অপারেশন কমপ্লেক্স (এমওএক্স)-এর মাধ্যমে ইসরোর ইসট্রাক বা (টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্ক) চলে। সেখান থেকে চন্দ্রযানের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ গিয়েছে বলেই জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। এদিনই ছিল নিল এলডেন আর্মস্ট্রংয়ের জন্মদিন। এই মার্কিন মহাকাশচারী চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী প্রথম ব্যক্তি। আর, তাঁর জন্মদিনেই এতবড় সাফল্য পেল ইসরো।

Advertisment

ইসরোর কর্তারা চন্দ্রযানকে পেরিলুনে গতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই পেরিলুন হল চাঁদের সবচেয়ে কাছের স্থান। ইসরো কর্তাদের নির্দেশ চন্দ্রযান সঠিকভাবে পালন করার পর বার্তা পাঠিয়েছে। তা হল- 'চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভব করতে পারছি।' আর, তারপরই ইসরোর কর্তারা নিশ্চিত হন যে চন্দ্রযান বিনা অসুবিধায় চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। এরপর চন্দ্রযানের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে একের পর এক ছোট কক্ষপথে প্রবেশ। তার মধ্যে প্রথম কক্ষপথ হ্রাস করার কাজটি হবে রবিবার রাত ১১টায়। যতই চাঁদের কাছাকাছি চন্দ্রযান পৌঁছবে, ততই তার গতি কমানো হবে। পাখির পালকের মত সবচেয়ে হালকা কিছু যেমন বাতাসে ভেসে মাটিতে পড়ে, চন্দ্রযানও সেভাবেই চাঁদে পৌঁছবে।

আরও পড়ুন- বোমায় জখম শৈশব, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালারের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র

চন্দ্রযান ৩ মহাকাশযানের মধ্যে রয়েছে প্রোপালসন মডিউল ল্যান্ডার বিক্রম। মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে থাকাকালীনই ল্যান্ডার বিক্রম আলাদা হয়ে যাবে চন্দ্রযান ৩ থেকে। পালকের মত ভেসে তা অবতরণ করবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর পৃষ্ঠে। বিক্রম চাঁদের পৃষ্ঠ ছোঁয়ার পর তার থেকে আলাদা হয়ে যাবে রোভার প্রজ্ঞান। তা ১৪ দিন বা এক চন্দ্রদিবস চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়াবে। এভাবেই দেখে নেওয়া হবে চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান কোনটি। এরপর সেই নিরাপদ জায়গায় ভেসে চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করবে চন্দ্রযান ৩ মহাকাশযান। বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সাহায্যে যা চাঁদে গবেষণা চালাবে। আর, সেখান থেকে তথ্য পাঠাবে বেঙ্গালুরুতে ইসরো কর্তাদের কাছে। তাঁরা আবার ইসরোর কার্যালয় থেকেই চন্দ্রযান ৩, বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। এখন যেমন করছেন।

ISRO Lunar Mission Chandrayaan 3
Advertisment