ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়। নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার বাড়বাড়ন্ত এবং মৃত্যুমিছিলের জন্য নেটিজেনরা সরকারকেই দায়ী করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশাকে। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম-সহ একাধিক মাধ্যমকে বিশেষ নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়ো, অসত্য ছবি-ভিডিও, সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর যা কোভিড প্রোটোকলের বিরোধী এমন ১০০টি পোস্ট ও কনটেন্ট নামিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। মন্ত্রকের যুক্তি, যখন গোটা দেশ ও সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনা অতিমারী মোকাবিলা করছে তখন কিছু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অযথা আতঙ্কের সৃষ্টি করছে, দুর্ব্যবহার করছে বাক স্বাধীনতার। সেই সমস্ত পোস্ট, লিংক সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিষয়টি অবগত করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে। কেন্দ্রের দাবি, এই পোস্ট ও লিংকগুলি সাম্প্রদায়িক ভাবে স্পর্শকাতর, সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। এরপরই টুইটার-ফেসবুক সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক। তাঁর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কিছু মানুষ সরকারের নিন্দা করছে, ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করছে। মানবতার স্বার্থে এই পরিস্থিতিতে এগুলি বন্ধ হওয়া উচিত।
এর একদিন আগেই কেন্দ্রের নির্দেশে ৫০টি এমন টুইট সরিয়ে দিয়েছে টুইটার। কিছু ইউআরএল বা লিংককে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য। অধিকাংশ টুইট জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক, পরিচালক, একজন সাংসদ এবং একজিন বিধায়ক, অভিনেতারা করেছিলেন।