বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির ফোন হ্যাক তাও আবার হোয়াটসঅ্যাপ মারফত। অ্যামাজনের সিইও জেফ বোজেসের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে, তার থেকে তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছে তাবড় তাবড় হ্যাকাররা। কিন্তু এই হ্যাক করল কে? সেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সলমনের দিকে। কারণ তাঁর মোবাইল নম্বর থেকেই সেই মেসেজ পৌঁছেছে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতার কাছে। কিন্তু এর সঙ্গে সৌদি আরবের কোনো সম্পর্ক নেই, তা সরকারিভাবে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ব্রিটেনের সৌদি আরবের দূতাবাস। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি বোজেস।
অ্যামাজনের সিইও তথা প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ফোন হ্যাকের ফরেনসিক তথ্য ২০১৮ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, তাঁর আইফোনের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ফাইল পাঠিয়ে হ্যাক করা হয়। ভিডিওটি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো হয়েছিল। এনএসও গ্রুপের পেগাসাস -৩ এই ঘটনায় জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইসরায়েলি সাইবার-সুরক্ষা সংস্থা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কথোপকথন চালানোর সময়, ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠানোর সুযোগ নিয়ে আ্যামাজন কর্তার ফোনে বিশেষ ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে হ্যাক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: চার ভারতীয় বায়ুসেনা পাইলটের সঙ্গে মহাকাশ পাড়ি দেবেন মহিলা, নাম ‘ব্যোমমিত্র’
ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার পর থেকেই বেজোসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের। খাশোগি-হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন সৌদি যুবরাজ। আর খাশোগি যে মার্কিন দৈনিকের সাংবাদিক ছিলেন তার মালিক ছিল অ্যামাজন। কাজেই, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অ্যামাজন-কর্তার গোপন তথ্য জানতেই হ্যাক করা হয়েছে তাঁর আইফোন।