ভারতে মুখ থুবড়ে পড়ছে বিএনএনএল। এদিকে টেলিকম দুনিয়ায় একচেটিয়া বাজার করতে সিদ্ধহস্ত রিলায়েন্সের জিও। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের সাসক্রাইবার সংখ্যা প্রকাশ্যে এনেছে টেলিকম রেগুলেটর অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। সেখানে দেখা গেছে কোটি ছাড়িয়েছে জিও'র গ্রাহক সংখ্যা। যেখানে লাখের ঘরে বিএসএনএল।
শুধু ফেব্রুয়ারিতেই রিলায়েন্সের কোটে ২৯.৭২ কোটি গ্রাহক। সেখানে জানুয়ারি মাসে জিওতে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছিল প্রায় ৭৭.৯৩ লাখ। সেখানে বিএসএনএলে ৮.৯৯ লাখ সাসক্রাইবার বৃদ্ধি হওয়ায় মোট গ্রাহকসংখ্যা গিয়ে পৌছেছে ১১.৬২ কোটিতে।
দেশের মোট ওয়্যারলেস গ্রাহক সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮.৩৬ কোটি, যার মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭.০৭ লাখ।
ট্রাই তার বিবৃতিতে বলে, "মোট ওয়্যারলেস গ্রাহকদের মধ্যে (১,১৮৩.৬৮ মিলিয়ন), ১,০২২.৬২ মিলিয়ন ওয়্যারলেস গ্রাহক শীর্ষস্থানীয় ভিএলআরে (visitor location register) ফেব্রুয়ারি মাসে সক্রিয় ছিল।
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসে ভোডাফোন আইডিয়া হারিয়েছে প্রায় ৫৭.৮৭ লাখ গ্রাহক। ফলত, ভোডাফোনের গ্রাহক সংখ্যা গিয়ে পৌছেছে প্রায় ৪০.৯৩ কোটিতে।
ট্রাই জানিয়েছে, ভারতী এয়ারটেলে ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়েছে প্রায় ৪৯,৮৯৬ ইউজার। যাদের মোট সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে ৩৪.০৩ কোটিতে।
বিএসএনএল-এর সচিব দিলীপ সাহা গত বছর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন,' “নিজের পরিষেবাতেই খেয়াল নেই সরকারের। এদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরিতে এক বেসরকারি পরিষেবাকেই শুধুমাত্র সুবিধে দেওয়া হয়ে চলেছে। যার জেরে মুখ থুবড়ে পড়ছে সমস্ত ভারতীয় টেলিকম পরিষেবা। রিলায়েন্স জিওর প্রতি সরকারের যে একচোখা আচরণ, সেই কারণেই ভারতে ব্যবসা করতে পারছে না তাবড় তাবড় টেলিকম পরিষেবা।”
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকেই ফাইভ জি আসছে ভারতবর্ষে। কিন্তু এদিকে ফোর জির অনুমতি পর্যন্ত পায়নি বিএসএনএল। পায়নি আর্থিক দিক থেকে কোনো সরকারি সাহায্য। বিনামূল্যের পরিষেবার প্রতি গ্রাহকদের ঝোঁক বেশি থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই কারণেই একচেটিয়া বাজার তৈরি করেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও, যারা নিখরচায় ফোর জি ব্যবহারের সুবিধা দিয়েছিল।