প্রাণের পুজো দুর্গাপুজোয় প্রযুক্তির ছোঁয়া! ২ বছর পর করোনা কাটিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা তামাম বাঙালি। আর এবার পুজোয় আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে দুর্গাপুজোর সঙ্গে প্রথমবার প্রযুক্তি মিলেমিশে একাকার। মেটাভার্স এবং দুর্গাপূজা এমন দুটি জিনিস, যার নাম খুব কম সংখ্যক মানুষ আগে শুনেছেন। আসলে প্রথমবারের জন্য মেটাভার্সের মাধ্যমে দুর্গাপুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন উৎসব মুখর বাঙালি। প্যান্ডেলে হাঁটা থেকে প্রতিমা দেখা পুরোটাই 'লাইভ' দেখবেন মানুষজন। দুর্গাপুজো এবং মেটাভার্স দুইয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে 'মেটাপুজো'। চলতি পুজোয় কলকাতার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপে এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যাবে। কিন্তু, আপনি কি জানেন মেটাভার্স কী এবং কীভাবে মেটাপুজো সম্ভব?
মেটাভার্স এবং দুর্গা পূজার সমন্বয়ে 'মেটাপুজো' শব্দটি তৈরি হয়েছে। মেটাভার্স সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি এক ধরনের ভার্চুয়াল জগৎ যেখানে একজন ব্যক্তি 3D তে কম্পিউটার তৈরি পরিবেশ অনুভব করতে পারবেন। একইভাবে মেটাভার্স প্রযুক্তিতে থ্রিডি প্ল্যাটফর্মে পূজার প্যান্ডেলে দুর্গা দর্শন করতে পারবেন মানুষ। যারা বাড়িতে আছেন তারাও মেটাভার্স থেকে প্যাণ্ডেলে প্রতিমা দেখতে পাবেন। এছাড়াও, আপনি মণ্ডপে হাঁটার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিতে পারবেন এবং আপনার মনে হবে আপনি প্যান্ডেলের ভিতরে আছেন। সেই সঙ্গে একেবারে সামনে থেকে প্রতিমা দর্শনের সুযোগও পাবেন আপনি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপভোগ করতে পারবেন আপনিও।
আরও পড়ুন: < রুগ্নপ্রায় দশা! হাতে মুখে ক্ষত, যুদ্ধবন্দী সেনার ছবি দেখে আঁতকে উঠেছে তামাম বিশ্ব >
চলতি বছর কলকাতার একাধিক বড় পুজো প্যান্ডেলেই মেটাভার্স প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কলকাতার পুজোয় চারটি বড় পুজো মণ্ডপে এই মেটাপুজো প্রত্যক্ষ করতে পারবেন মানুষজন। সেগুলি হল – আহিরীটোলা সর্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল এবং টালা প্রত্যয়। উদ্যোক্তারা প্যান্ডেলগুলির একটি 3D ম্যাপিং করার পরিকল্পনা করেছেন। মেটাফর্ম এবং XP&DLAND এর তরফে জানানো হয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই প্রতিমা দেখার সুযোগ পাবেন সকলেই। স্মার্টফোন, ট্যাবলেটের মাধ্যমে সকলেই এটি অ্যাকসেস করতে পারবেন। থ্রি ডি ম্যাপে প্রবেশ করে কলকাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যান্ডেলগুলির দর্শন করার সুযোগ করে দেবে এই প্ল্যাটফর্ম।