আপনার ফোনের ফোর জি কানেকশনকে গালমন্দ করেন ? জানেন কি, কলকাতাতেই সবচেয়ে ভালো ফোর জির উপস্থিতি নাকি যথা জায়গায় যথা ভাবে রয়েছে? ওপেন সিগন্যাল কোম্পানির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২২ টি টেলিকম পরিধির মধ্যে ৯০.৭৩ শতাংশ পেয়ে কলকাতা সেরার তালিকার প্রথমে। কলকাতার ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে পাঞ্জাব। সে রাজ্যে ফোর জির লভ্যতা ৮৯.৮২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৮৯.১৭ শতাংশ ফোর জি কানেকশন পেয়ে বিহার। তারপর মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশা। দশমিক কিছু সংখ্যার এদিক ওদিকের ফারাক রয়েছে এই দুই রাজ্যে।
ওপেন সিগন্যল জানিয়েছে, তাদের কাছে ২১ টি পরিধির LTE-র প্রাপ্ত স্কোর ৮০ শতাংশের বেশি। ২০১২ সালের পর থেকে এদেশে ফোর জির জামানা শুরু হয়। সংস্থাটি একটি প্রেস বিবৃতিতে বলেছে যে তারা ভারতে ৯০ দিনের মধ্যে ২২ টি টেলিকম গন্ডির মধ্যে ফোর জি ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে শুরু হয় এই সমীক্ষা প্রক্রিয়া।
কলকাতা তালিকার শীর্ষে
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৯০ দিনের এক সমীক্ষায় পাটনা ৯০.৬ শতাংশ স্কোর করে পৌঁছেছিল তালিকার শীর্ষস্থানে। কোম্পানি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ভারতের ২০ টির শহরের মধ্যে সেরা পাঁচেই রয়েছে কলকাতা।
এপ্রিল মাসে প্রকাশিত ভারতে LTE নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সাম্প্রতিক OpenSignal এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এয়ারটেল ফোর জি এবং থ্রিজি ডাউনলোডের গতিতে আসে। ফোর জি এয়ারটেলের ডাউনলোডের গতি ৯.৩১ এমবিপিএসে দাঁড়িয়ে ছিল, আইডিয়া সেলুলারের ছিল ৭.২৭ এমবিপিএস। ভোডাফোনের ৬.৯৮ এমবিপিএস এবং রিলায়েন্স জিওতে ফোর জি স্পিড থাকে ৫.১৩ এমবিপিএস।
এখন আপনার মনে হতেই পারে এইরকম স্পিডে তো আপনার ফোনের নেট কাজ করে না? অনেক ক্ষেত্রে ফোনের অন্তরবর্তী নেট চালানোর ক্ষমতা কম থাকে। অথবা যে এলাকায় আপনি রয়েছেন তার আশেপাশে নেটওয়ার্ক সে ভাবে পৌঁছতে পারে না।