Advertisment

বিশ্বের বৃহত্তম বিমান, বিশালাকার তার চেহারা

এই প্রথম বিমান তৈরিতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হল কার্বন ফাইবার। কাজেই, ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের ইঞ্জিন। বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে রয়ে ২৮টি চাকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পৃথিবীর বৃহত্তম বিমান

শনিবার সকালে প্রথমবার সফলভাবে আকাশে উড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে ক্যালিফোর্নিয়ার মোহাভি মরুভুমির বুকে তৈরি করা হচ্ছিল বিমানটি। নির্মাতা সংস্থা স্ট্র্যাটোলঞ্চ সিস্টেমস জানিয়েছে, বিশাল আকারের এই বিমানের ডানার দৈর্ঘ্য যে কোনো ফুটবল বা ক্রিকেট মাঠের সমান।

Advertisment

জানা যাচ্ছে, বিমানের ডানা প্রায় ৩৮৫ ফুট, উচ্চতা ৫০। ট্যাঙ্কে যদি জ্বালানি না থাকে তাহলে এর ওজন প্রায় পাঁচ লাখ পাউন্ড। বিমানটি এতই বড় যে নির্মাণ কাজ যত এগিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়েছে। একটি বিমানের মধ্যেই রয়েছে দুটি ককপিট।

বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ হাইড্রোজেন রকেট ইঞ্জিনে চলবে এই বিমান। গত বছর টুইটারে যার শব্দ শুনিয়েছিল সংস্থা।

publive-image যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার খরচ কমাবে স্ট্র্যাটোলঞ্চ।

এই প্রথম বিমান তৈরিতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার। কাজেই, ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের ইঞ্জিন। বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে রয়েছে ২৮টি চাকা। এই বিমান একঘণ্টায় ছুটে যাবে ১৮৯ মাইল অর্থাত্ৎ এর গতি ঘণ্টায় ৩০২.৪ কিমি।

publive-image স্ট্র্যাটোলঞ্চ জানিয়েছে, ২০২০ সালে প্রথম রকেট উৎক্ষেপনে সহায়তা করবে।

publive-image বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানটি এতোটাই বিশাল যে এটা উড়তে পারবে কিনা , তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা ছিল।

স্ট্র্যাটোলঞ্চের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জিন ফ্লয়েড কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিতে বলেন, " বিশ্বের প্রথম অত্যাধুনিক চমৎকার বিমান, বিমানের প্রথম সফল উড়ান আমাদের আগামীদেনের ভাবনা চিন্তাকে আরও প্রশ্রয় দিয়েছে, যার ফলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও আগ্রহী হয়েছে গোটা টিম।"

publive-image বিশ্বের বৃহত্তম বিমান, নামকরণ করা হয়েছে কোম্পানির নামানুসারে, স্ট্র্যাটোলঞ্চ।

তবে যাত্রীবাহী নয় এই বিমান। মূলত, মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত হবে। বহন করবে রকেট। বিমানের নিচে মাঝ বরাবর রয়েছে রকেট লাগানোর জায়গা। ৩৫ হাজার ফুট ওপরে উঠে এই রকেট ছেড়ে দেওয়া হবে মহাকাশে। কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পাশাপাশি সামগ্রিক মহাকাশ অভিযানও করা হবে বলে জানা গেছে। তাতে খরচ কমবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisment