রকেটে করে মহাকাশে যাবে মানুষ। যা ভারতের ইতিহাসে প্রথম। চন্দ্রযান ২ এর ব্যর্থতার পর এমন কঠিন পদক্ষেপ করার আগে ভেবে চিন্তে এগোচ্ছে ইসরো। চার মহাকাশচারীকে পাঠানোর প্রথম মহড়ায় এক 'মহিলা'কেও মহাকাশে পাঠাতে চান কে শিভন সহ ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই মহিলার নাম 'ব্যোমমিত্র'। ইনি হিউম্যানয়েড অর্থাৎ রোবট। চলতি বছরের ডিসেম্বরে মানবহীন যান পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সফল হলে, ২০২১ সালে জুলাই মাসে ফের উৎক্ষেপন করা হবে। তাতেও সফল হলে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী ২০২২ সালে ৭৫ তম ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের মাটি ছেড়ে মহাকাশের উদ্দেশে চার মানুষ ও এক রোবটকে নিয়ে পারি দেবে GSLV III(রকেট)।
বুধবার বেঙ্গালুরুতে 'ব্যোমমিত্র'কে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে ইসরো। স্যুট প্যান্ট শার্ট ও মিশকালো চুলে তার পরিচয় সে নিজেই দিল। দর্শকদের সম্বোধন করে 'ব্যোমমিত্র' বলে, ' সবাইকে 'হ্যালো'। আমি ব্যোমমিত্র। প্রথম মানববিহীন গগনযান মিশনের জন্য আমাকে তৈরি করা হয়েছে।' এরপরই নিজে কী কী কাজে পারদর্শী তার তালিকা আওড়ায় সে- 'মডিউল প্যারামিটারের মাধ্যমে আমি নজর রাখতে পারি। সতর্ক করতে পারি। জীবনদায়ী কাজ সামলে নিতে পারি। সুইচ প্যানেল অপারেশনও দেখভাল করতে পারি।'এতেই শেষ নয়, সে নাকি ভালো বন্ধু হতে পারদর্শী। মহাকাশচারীদের চিনতে পারবে সে, তাদের সঙ্গে মিশন সম্পর্কিত কথোপকথনও করে পারবে সে। প্রশ্ন করলেই ঠোঁটের গোড়ায় থাকবে তাঁর উত্তর। মহাকাশে পারি দিতে 'ব্যোমমিত্র' প্রস্তুত এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভন।
অন্যদিকে, ভারত ও রাশিয়ার কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়ার শেষে ভারতীয় বায়ু সেনার থেকে চার জন বিমান চালককে বাছাই করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে কে শিভন বলেছেন, যে নির্বাচিত চার মহাকাশচারীকে এই মাসের শেষের দিকে প্রশিক্ষণ নিতে রাশিয়ায় পাঠানো হবে। ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা রাশিয়ান মডিউলে মহাকাশ যাত্রা করেছিলেন। তবে এবার ভারতীয় নভোচারীরা ভারত থেকে ভারতীয় মডিউলে রওনা দেবে। যা ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার।
Read the full story in English