টুইটারের পর ফেসবুক-ইন্সটা ব্যবহার করতেও খসবে গ্যাঁটের কড়ি। টুইটার ব্লু ভেরিফিকেশন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে সর্বত্রই। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে মেটাও। মেটা, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা, ব্যবহারকারীদের জন্য 'ব্লু টিক' যাচাইকরণ সিস্টেম চালু করেছে। এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে 'মেটা ভেরিফিকেশন'। চলতি সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এই পরিষেবা চালু করা হবে। কেন এই পরিষেবা? মেটার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের এই পরিষেবা ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ইউজারদের রক্ষা করবে। এখন যেহেতু টুইটারও এই পরিষেবা চালু করেছে, তাই টুইটারের সঙ্গে প্রতিযোগিতার আসরে নেমে নয়া এই পরিষেবা নিয়ে আসতে চলেছে মেটা।
Advertisment
মেটার ব্লু টিক পরিষেবার সুবিধা মার্ক জাকারবার্গ নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করে এই পরিষেবার কথা জানিয়েছেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন 'মেটা ভেরিফিকেশন'-এর সুবিধা নেওয়া ব্যবহারকারীরা বাড়তি সুরক্ষা পাবেন। জাল অ্যাকাউন্ট থেকেও মিলবে অতিরিক্ত সুরক্ষা। এছাড়াও এই পরিষেবা নিলে ব্যবহারকারীরা পাবেন সরাসরি 'কাস্টমার কেয়ার' থেকে সহায়তা। মার্ক জাকারবার্গ আরও বলেছেন যে এই নতুন পরিষেবাটি প্ল্যাটফর্মের 'সত্যতা এবং সুরক্ষা' বাড়াতে বিশেষ কাজে আসবে।
মেটা বনাম টুইটার রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, মেটা ভেরিফাইড ব্লু টিক ওয়েবে প্রতি মাসে ১১.৯৯ ডলার থেকে শুরু হবে এবং Apple-এর iOS সিস্টেমের ইউজারদের জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে ১৪.৯৯ ডলার। মেটার প্যাড পরিষেবার খরচ টুইটারের প্যাড পরিষেবার চেয়ে বেশি। ভারতে, Twitter ব্লু-এর মূল্য ওয়েবের জন্য এখন ব্যবহারকারীদের দিতে হয় ৬৫০ টাকা এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি মাসে দিতে হয় ৯০০ টাকা। তবে, মেটা এখনও ভারতে তার এই পরিষেবার মূল্য প্রকাশ করেনি। উপরে উল্লিখিত মূল্য অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের জন্যই প্রযোজ্য। তবে ভারতে কবে এই পরিষেবা চালু হবে তা এখনও ঘোষণা করেনি মেটা। মার্ক জুকারবার্গের পোস্টে স্পষ্ট করা হয়েছে যে এটি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশেও চালু করা হবে এই পরিষেবা।