ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মেটা প্ল্যাটফর্ম ইনকর্পোরেটেড বুধবার সকাল থেকেই কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করবে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানিগুলির মূল সংস্থা মেটা প্ল্যাটফর্মগুলি আজ ৯ নভেম্বর থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে কোম্পানির খরচ কমাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে মেটা। বেশ কিছুদিন ধরে কোম্পানির লাভের পরিমাণ কমছে এবং বিক্রিও কমছে, তাই এই ছাঁটাইয়ের কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। র আগে, ইলন মাস্কও টুইটারে কর্মীদের ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ভারতে প্রায় ২৫০-৩০০ জন কর্মী টুইটারে এই মুহূর্তে কর্মরত। চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে কর্মীদের।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মেটা বুধবার অর্থাৎ ৯ নভেম্বর থেকে কোম্পানিতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। এই ছাঁটাইয়ের প্রভাব কোম্পানির হাজার হাজার কর্মচারীর ওপর পড়বে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে এত বড় মাপের ছাঁটাইয়ের এই পদক্ষেপটি মেটার ইতিহাসে এই প্রথম। রিপোর্ট অনুসারে সেপ্টেম্বরের শেষে সংস্থা জানিয়েছিল যে মেটাতে মোট ৮৭,০০০ কর্মী এই মুহূর্তে কর্মরত।
প্রতিবেদন অনুসারে মেটার শেয়ার চলতি বছরে কমেছে মোট ৭৩ শতাংশ। ২০১৬এর পর এটাই রেকর্ড পতন বলে দাবি। এই বছর মেটার শেয়ারের মূল্য প্রায় ৬৭ বিলিয়ন ডলার কমেছে, যা কোম্পানির জন্য একটি বড় ধাক্কা। তার জেরেই কী কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে সংস্থা, উঠেছে প্রশ্ন।
সেপ্টেম্বরেই ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, মার্ক জুকারবার্গ কোম্পানির কর্মীদের জানিয়েছিলেন যে মেটা তার খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে। এর পাশাপাশি কোম্পানিটি নতুন নিয়োগও বন্ধ করে দিয়েছে। মেটার সিইও আরও বলেছিলেন যে ২০২৩ সালে, মেটা তার কর্মীদের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় কম করতে চলেছে।
প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী কমানো হতে পারে
সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত, মেটাতে ৮৭ হাজার কর্মী কাজ করছেন এবং প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো, কোম্পানির ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের আয় কমেছে। যার জেরেই এই কর্মী ছাঁটাই।