Future Of War AI: এখন যুদ্ধ করবে মেশিন! মিলিটারি AI প্রযুক্তিতে বিপ্লব, পাল্টে যাবে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। যুদ্ধক্ষেত্রে কদর বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI)। ঠিক যেমনভাবে পরমাণু হুমকি গোটা বিশ্বকে বদলে দিয়েছিল, তেমনভাবেই এবার যুদ্ধের ধরন বদলে দিচ্ছে মিলিটারি AI প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি এমন ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছে। শত্রু শনাক্ত করা, সাইবার হামলা চালানো, ড্রোন বা ফাইটার জেট উড়ানো এমনকি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ নিজেই করতে পারবে এই প্রযুক্তি।
সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি'র রিপোর্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি' (CNAS)-এর এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মিলিটারি AI ব্যবস্থায় দ্রুত পরিবর্তন আসছে। কিন্তু এই প্রযুক্তির কিছু অন্ধকার দিকও আছে—যেমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব এবং প্রশিক্ষণ ডেটার উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা।
আরও পড়ুন- MacBook থেকে HP! প্রিমিয়াম ল্যাপটপে সবচেয়ে বড় ডিসকাউন্ট
বিশেষজ্ঞ জোশ ওয়ালিনের রিপোর্ট বলছে, শুধুই আমেরিকা নয়, চিন ও রাশিয়ার মতো দেশের মধ্যেও AI নিয়ে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তাই এখনই প্রয়োজন এমন একটি নিরাপদ ও নমনীয় কাঠামো তৈরি করা, যাতে AI প্রযুক্তি যুদ্ধক্ষেত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন- বর্ষার এসি ব্যবহারে মেনে চলুন বিরাট সাবধানতা, সামান্য ভুলেই হতে পারে ভয়ংকর বিপদ
এই সপ্তাহে CNAS একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে, যেখানে দেখা হবে—কীভাবে AI এবং অটোনোমাস প্রযুক্তি যুদ্ধের রণনীতি এবং কার্যপদ্ধতিকে বদলে দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রেড সি অঞ্চলে AI চালিত ড্রোন ও টার্গেটিং সিস্টেম ইতিমধ্যেই যুদ্ধের ছবিকে পাল্টে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- বর্ষায় এসির তাপমাত্রা মাত্র ১ ডিগ্রি বাড়িয়ে হাজার হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বাঁচান, ৯০% মানুষের কাছে এই বিষয়টি অজানা
বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করছেন যে, AI এবং পারমাণবিক অস্ত্রের মেলবন্ধন ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে চিন যখন নিজের পারমাণবিক ক্ষমতা দ্রুত বাড়াচ্ছে, তখন এই প্রযুক্তির অপব্যবহার যুদ্ধের ভারসাম্য ভেঙে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- ঘনঘন চার্জ দিতে দিতে ক্লান্ত? এভাবেই দীর্ঘসময় চলবে ল্যাপটপের ব্যাটারি, সহজেই এড়ান ওভার হিটিংয়ের সমস্যা
সবচেয়ে বড় বিষয়, AI যুগে সামরিক মিত্রতা বজায় রাখা আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই এখন থেকেই সমস্ত দেশের মধ্যে AI সিস্টেমের ইন্টারঅপারেবিলিটি অর্থাৎ পারস্পরিক সংযোগ ও বোঝাপড়ার ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে—যে কোনও বড় সংঘাতের আগেই।