গগনযান চড়ে যাঁরা মহাকাশে পাড়ি দেবেন তাদের জন্য তৈরি হল খাবারের তালিকা। আমিষ খাবার থেকে শুরু করে নিরামিষ খাবার সমস্তটাই তারা পাবেন মহাকাশে, এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্ট অর্গানাইজেশন (ইসরো)। ২০২১ সালে গগনযান রওনা দেবে মহাকাশের উদ্দেশে। এখনও অবধি চার জন বায়ুসেনার পাইলটকে বাছাই করা হয়েছে, যাদের ভারত থেকে প্রথম মহাকাশে পাঠানো হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা কী খাবেন?
ইতিমধ্যে মাইসোরের এক ল্যাবোটারিতে পাঠানো হয়েছে কিছু স্পেশাল খাবার ও তরল প্যাকেট জাতীয় দ্রব্য। এক সংবাদ সংস্থার টুইট অনুযায়ী, এগ রোল, ভেজ রোল, ইডলি, মুগ ডাল হালুয়া এবং ভেজ পোলাও রাখা হয়েছে খাবারের মেনুতে। জল ও জুসের জন্য বিশিষ্ট পাত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাছাই পর্ব শেষ, গগনযানে চড়ে চাঁদে যাবেন চারজন
ইসরো জানিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের মানুষকে মহাকাশে পাঠানোর মিশন পূরণ করতে চলেছে তারা। ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী 'গগনযান'র কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল।
এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ইসরো প্রধান জানান, ‘‘চন্দ্রযান ৩ অনুমোদন করেছে সরকার। এই প্রোজেক্টের কাজ চলছে। এজন্য ১৪-১৬ মাস সময় লাগতে পারে। ফলে ২০২১ সালে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করা হতে পারে’’। কে শিবন আরও বলেন, ‘‘যদিও চাঁদের মাটিতে সফল ল্যান্ডিং হয়নি, তবুও চন্দ্রযান ২ প্রোজেক্টে আমরা দারুণ উন্নতি করেছি। এখনও অরবিটর কাজ করছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রদানে আগামী ৭ বছর ধরে এটা কাজ করবে’’।
গগনযান মিশন খুব ভাল অগ্রগতি করেছে। গগনযান করে পারি দেওয়ার জন্য ক্রিউ প্রশিক্ষণ এবং প্রপালশন মডিউলটির জন্য সম্প্রতি মানব রেটিং সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা দরকার। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে বেশ কিছু এই বছরই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কে শিবন।
শিভান আরও ঘোষণা করেছেন, যে শ্রীহারিকোটায় একটি ছাড়াও ইসরো খুব শীঘ্রই একটি দ্বিতীয় লঞ্চিং স্টেশন করতে চলেছে। এই নতুন সুবিধার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ স্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর টুথুকুডি জেলার এক এলাকা।
Read the full story in English