Twitter v/s Center: নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইনে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন হলেও অবিলম্বে গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করুক ট্যুইটার। এদিন অবস্থান করে স্পষ্ট করে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে ট্যুইটারকে আগামি দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বিচারক রেখা পাল্লির বেঞ্চ।
এদিন শুনানিতে আদালতে বলেছে, ‘ট্যুইটারকে কোনও অন্তর্বর্তী রক্ষাকচবচ নয়। বরং নিজেদের অবস্থান জানাতে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তাই ভারত সরকার তথ্য ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে যদি কোনও বিধিভঙ্গ হয়।‘ আগামি ২৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই ট্যুইটারকে কড়া বার্তা পাঠালেন নবনিযুক্ত মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে যারা ব্যবসা করবে, প্রত্যেককে এদেশের আইন মেনে চলতে হবে। দেশের আইন প্রত্যেককে মেনে চলতেই হবে।‘ এদিন নিজের মন্ত্রকে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষের সঙ্গে দেখা করেন বৈষ্ণব।
সেই বৈঠক শেষেই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই কথা বলেছেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর পূর্বসূরি রবিশঙ্কর প্রসাদ যেখানে ব্যাটন ছেড়েছিলেন, ট্যুইটারের সঙ্গে যুদ্ধে সেখান থেকেই ব্যাটন হাতে নিলেন নতুন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী। সংশোধিত তথ্য-প্রযুক্তি আইন নিয়ে কেন্দ্র বনাম ট্যুইটার সংঘাত সম্প্রতি চর্চায়।
নতুন আইনের খসড়ায় উল্লেখ অবিলম্বে এই সোশাল মিডিয়াকে তিনজন আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। চিফ কমপ্লায়েন্স, নোডাল এবং গ্রিভেন্স অফিসার। এই তিনজনকেই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। এমনটাই সেই খসড়ায় উল্লেখ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন