NASA: নাসার কিউরিওসিটি 'রোভার' মঙ্গল গ্রহে এমন একটি আবিষ্কার করেছে যা বিজ্ঞান এবং মহাকাশ গবেষণায় বিপ্লব আনতে পারে। আসলে এই রোভারটি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে পাওয়া সবচেয়ে বড় জৈবিক অণু আবিষ্কার করেছে। এগুলো লাল গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনাকেই ইঙ্গিত করে। এই আবিষ্কার কেবল মঙ্গল গ্রহের ইতিহাস বুঝতেই সাহায্য করবে তাই নয় বরং পৃথিবী ছাড়াও আমাদের সৌরজগতের অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব কিনা তা নিয়েও নানা প্রশ্নের উত্তর সামনে আনতে সাহায্য করবে।
এই আবিষ্কারটি কাম্বারল্যান্ড নামে একটি শিলা নমুনা থেকে করা হয়েছে যেটি ২০১৩ সালে মঙ্গল গ্রহের গেল ক্রেটারের মধ্যে ইয়েলোনাইফ উপসাগর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয় যে এই এলাকায় একসময় হ্রদ ছিল। এই অঞ্চলে পূর্ববর্তী অভিযানগুলি অন্যান্য আকর্ষণীয় আবিষ্কার করেছে, যেমন কাদামাটি, সালফার, নাইট্রেট এবং মিথেন। এর থেকে বোঝা যায় যে, আগামী সময়ে এর সাথে সম্পর্কিত আরও তথ্য সামনে আসবে।
এই আবিষ্কারটি কেন বিশেষ?
এই অণুগুলির আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় যে মঙ্গল গ্রহের পরিস্থিতি একসময় প্রাণের জন্য উপযুক্ত ছিল। এখন এটা নিশ্চিত নয় যে এই অণুগুলো আসলে কোন জীবন্ত প্রাণী থেকে এসেছে নাকি প্রাণ ছাড়াই এগুলো তৈরি হয়েছে। কিন্তু তবুও এগুলো মঙ্গল গ্রহে প্রাণের আশা বাড়িয়ে তোলে।
সিএনআরএস ফ্রান্সের ডঃ ক্যারোলিন ফ্রেইসিনেট, যিনি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি বলেন, নতুন আবিষ্কার মঙ্গল অভিযানকে আরও শক্তিশালী করবে। আরও বিশ্লেষণের জন্য মঙ্গল গ্রহের মাটি এবং শিলার নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারব যে মঙ্গল গ্রহে কখনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা"।
ভারত মঙ্গল গ্রহেও গবেষণা করছে
ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ধরে চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। ভারত উভয় গ্রহে বেশ কয়েকটি মিশনও সম্পন্ন করে ।