Advertisment

মঙ্গলে মনমতো জায়গা না পেলেও আগ্নেয়গিরির স্পর্শ পেয়েছে 'ইনসাইট'

কী লুকিয়ে আছে মঙ্গলের অন্দরমহলে? পৃথিবীর মত খনিজ থেকে শুরু করে তেলের ভান্ডার আছে, নাকি গভীরে রয়েছে বিস্তর জলা জায়গা? এই সব কিছুর উত্তর দিতে হবে মহাকাশযান ইনসাইটকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ইতিমধ্যে মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে ইনসাইট লাল গ্রহের এলিয়াসিয়াম প্ল্যানটিয়া নামের একটি লাভার খোঁজ পেয়েছে।

দিন দুয়েক আগে মঙ্গলে পৌছে গেছে 'মার্স ইনসাইট'। এবার পালা দায়িত্ব পালনের। মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে রহস্য উন্মোচন করবে এবং সেই তথ্যই পাঠাবে পৃথিবীতে।

Advertisment

কী লুকিয়ে আছে মঙ্গলের অন্দরমহলে? পৃথিবীর মত খনিজ থেকে শুরু করে তেলের ভান্ডার আছে, নাকি গভীরে রয়েছে বিস্তর জলা জায়গা? এই সব কিছুর উত্তর দিতে হবে মহাকাশযান ইনসাইটকে। তার প্রাথমিক কাজ ছিল, মঙ্গলের ভূমির তলদেশে কি জাগ্রত আগ্নেয়গিরি রয়েছে বা ভূমিকম্পের সময় তার ভয়াবহতার রূপ কেমন হয়, সেই সব তথ্য উদঘাটন করা।

এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস সংস্থাটি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে ইনসাইট লাল গ্রহের এলিয়াসিয়াম প্ল্যানটিয়া নামের এক ধরনের লাভার খোঁজ পেয়েছে। কিন্তু সমস্যা পিছু ছাড়েনি। অবতরণের পর প্রায় ৪ ডিগ্রী বেঁকে অবস্থান করেছে ইনসাইট।

ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের অন্যতম বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, "বিজ্ঞানীরা ল্যান্ডিং সাইট বেছে নেওয়া সত্ত্বেও ইনসাইট অবতরণ করেছে বালুকাময় ও পাথুরে এলাকায়। যার জন্য খুব একটা খুশি হই নি আমরা। মঙ্গলগ্রহে কোন ল্যান্ডিং প্যাড বা রানওয়ে নেই, তাই মূলত একটি বালিময় জায়গায় অবতরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পাথর না থকলে আরও সহজ হত ইনসাইটের ল্যান্ডিং। তবে বেশ ভালো জায়গা থেকে খনন শুরু করেতে পেরেছে ইনসাইট।"

আরও পড়ুন: মঙ্গলের আশায় এবার মার্স ইনসাইটে ভরসা নাসার

পাথুরে জায়গায় আছড়ে পরার পর বেশ আতঙ্কে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছিল, পৌঁছে তো গেছে, এবার খনন কার্যে সফল হতে পারবে তো? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঢালু ও পাথুরে জমিতে ইনসাইটের খনন কার্যের সময় তাপ প্রবাহ, যা বিজ্ঞানের ভাষায় “the mole” বা HP3 সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ল্যান্ডিং এলাকা থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফগুলির একটি প্রাথমিক মূল্যায়ণ করে জানা গেছে, মঙ্গলে ইনসাইটের আশপাশের বেশ কিছু এলাকা পাথুরে। আসন্ন দিনে উচ্চ-রেজোলিউশনের কিছু ছবির আশায় রয়েছেন নাসা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ধুলোর ঝড়ে যাতে ক্যামেরা অটুট থাকে তার ব্যবস্থা করেই ইনসাইটকে পাঠানো হয়েছে লাল গ্রহে।

ইনসাইটের প্রধান তদন্তকারী টিমের ব্রুস ব্যানডার্ড বলেন, আমরা এই প্রাথমিক মূল্যায়ণ নিশ্চিত করার জন্য উচ্চমানের ছবি অপেক্ষা করছি। যদি সেই ছবিগুলি পাওয়া সম্ভব হয়, তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় একধাপ এগোতে পারা যাবে। সেই বুঝেই ঠিক করা যাবে কি ভাবে ওই পাথুরে জমিতেও কাজ করতে সফল হবে ইনসাইট। মঙ্গল পৃষ্ঠের গভীরে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম হবে মঙ্গলের নতুন মহাকাশযান।"

এলোমেলো ধুলোর ঝড়ে মাঝে মধ্যেই ঢেকে যায় মঙ্গলের আকাশ। আর সেই ঝড়ে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে মঙ্গলের কোলে। তার দৈর্ঘ্য থাকে বেশ কিছুদিন। তখন বিছিন্ন হয়ে পড়ে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ। কিছুদিন আগেই এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয় নাসার মহাকাশযান কিউরিওসিটি। তবে এবার তা হবে না। ইনসাইটে যে নতুন ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে এই বিপদ এড়ানো অনেকাংশে সম্ভব হলে জানিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের বিজ্ঞানীরা। কারণ ইনসাইটে রয়েছে সোলার প্যানেল। যা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ ওয়াট সূর্যালোক পেলেই সক্রিয় থাকবে বহুদিন।

Read the full story in English

NASA
Advertisment