NASA Lunar Trailblazer Mission: চাঁদে জল ও অন্যান্য সম্পদের অনু সন্ধানে নাসা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। এর আগে বিজ্ঞানীরা চাঁদে জলের অস্তিস্ত্বে ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। চাঁদের ঠান্ডা এবং স্থায়ী ছায়াযুক্ত স্থানে বিপূল পরিমাণ 'বরফ'জমা থাকতে পারে বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের।
গত কয়েক বছরে, ভারত সহ কিছু দেশ চাঁদের অনুসন্ধানে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদে জলের সন্ধানে লুনার ট্রেলব্লেজার উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এর ওজন প্রায় ২০০ কেজি। এটি প্রায় ৩.৫ মিটার চওড়া এবং এর সৌর প্যানেলগুলি সম্পূর্ণরূপে খোলা।
ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই উপগ্রহটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এর জন্য স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। চাঁদের পৃষ্ঠে জলের সন্ধান এবং এর অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য লুনার ট্রেলব্লেজার পাঠানো হয়েছে। নাসা শীঘ্রই একটি নতুন টেলিস্কোপও চালু করবে। নাসা বলছে এটি মহাবিশ্বের 'সবচেয়ে রঙিন' মানচিত্র তৈরি করবে। SPHEREx নামে পরিচিত এই টেলিস্কোপটি আকারে খুব বড় নয় তবে এটি প্রায় ২ বছরের মিশনে প্রচুর পরিমাণে তথ্য সরবরাহ করবে।
এই উপগ্রহটি আগামী ৬ মার্চ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। জল ও অন্যান্য সম্পদের সন্ধান চালাবে। লুনার ট্রেইলব্লেজার মিশনের অধীনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জল এবং অন্যান্য সম্পদ অনুসন্ধান করবে যা ভবিষ্যতে মানব বসতির জন্য কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এর জন্য নাসা একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে।
এই মিশনের উদ্দেশ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা, সম্পদের প্রাপ্যতা অধ্যয়ন করা এবং ভবিষ্যতে মানব বসতির পথ প্রশস্ত করা। জানা গিয়েছে এই মিশনে 'গ্রেস' নামের একটি ড্রোন চাঁদের পৃষ্ঠে পরীক্ষা চালাবে এবং এর গঠন সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে। এই ড্রোনটি বিশেষভাবে এমন এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে যেখানে এখনও সূর্যের আলো পৌঁছায়নি।
নাসার এই মিশন ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । এই মিশনের প্রাপ্ত তথ্য বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে যে চাঁদে কতটা জল এবং অন্যান্য সম্পদ রয়েছে এবং মানব জীবনের জন্য সেগুলি কতটা কার্যকর হতে পারে। উপরন্তু, এই মিশনের তথ্য ভবিষ্যতের আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে চাঁদে দীর্ঘস্থায়ী 'মানব মিশন' পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। এই অভিযানের সাফল্য চাঁদে স্থায়ীভাবে মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করবে।