লালগ্রহে সফল অবতরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাসার রোভার Perseverance মঙ্গলের রঙিন ছবি পাঠাল মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। অত্যাধুনিক এই মহাকাশ যানে ২৫টি ক্যামেরা এবং দুটি মাইক্রোফোন রয়েছে। মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার পরই একাধিক ছবি তুলে পাঠাল Perseverance। আর সেই ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। কীভাবে লালগ্রহে অবতরণ করেছে রোভার, তার ছবি পাঠিয়েছে। এমন ছবি এর আগে কোনও মহাকাশ যানই তুলে পাঠাতে পারেনি।
Advertisment
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ভেদ করে অবতরণের মুহূর্ত।
শুক্রবার সেই ছবিগুলি নিজস্ব ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে নাসা। মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের সময় শূন্যে ২ মিটার উচ্চতা থেকে ল্যান্ডিংয়ের ছবি তোলা হয়েছে। রোভারে থাকা স্কাই ক্রেনের ক্যামেরার সাহায্যে তোলা হয়েছে অবতরণের সেই মুহূর্তের ছবি। অপূর্ব দর্শন ছবিগুলি মনোমুগ্ধকর। নাসার বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন, অবতরণের শেষ ৭ মিনিট খুবই ভয়ের। কারণ, ১২০০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে সেটি মঙ্গলের দিকে ছুটে যাচ্ছিল।
মঙ্গলের মাটি ছুঁল Perseverance রোভারের চাকা।
Advertisment
সাংবাদিক বৈঠকে নাসার আধিকারিকরা এই ছবিগুলি প্রকাশ করেন। ফ্লাইট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অ্যারন স্টেথুরা বলেছেন, "এটা এমন দৃশ্য যা, আমরা কখনও দেখিনি। অপূর্ব সেই দৃশ্য, গোটা টিম বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। যেন বিজয়ী হওয়ার মতো মুহূর্ত। তাই গোটা বিশ্বের সঙ্গে এই বিজয় মুহূর্ত ভাগ করে নিতে চেয়েছি আমরা।"
লালগ্রহে অবতরণের পর প্রথম রঙিন হাই রেজোলিউশন ছবি নাসাকে পাঠিয়েছে Perseverance রোভার।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ থেকে তোলা ছবির থেকেও সুন্দর বলে একে তকমা দিয়েছে নাসা। Perseverance প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যাডাম শেল্টনার জানিয়েছেন, "রোভার-এর অবতরণের মুহূর্ত যেন নাসায় বসে সবাই অনুভব করলাম।"