সাত মিনিটের আতঙ্ক কাটিয়ে মঙ্গলজয়! লালগ্রহের অবতরণের সেই আতঙ্ক পারদর্শিতার সঙ্গে কাটিয়েছিল নাসার Perseverance রোভার। সেই চূড়ান্ত আতঙ্কের মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। বিশাল প্যারাশুট খুলে পালকের মতো মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছিল Perseverance। লালমাটিতে ধুলো উড়িয়ে শব্দ করে নেমেছিল রোভার। সেই ভিডিও ও অডিও এবার সামনে আনল নাসা। এককথায় অবিশ্বাস্য এবং অপূর্ব সেই দৃশ্য।
এন্ট্রি এবং ডিসেন্ট ক্যামেরা টিমের প্রধান ডেভ গ্রুয়েল জানিয়েছেন, “এই দৃশ্য আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে দেয়। যতবার দেখছি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে যেন, আমি আর আমার টিমের সদস্যরা রোভারে চেপে মঙ্গলে নামলাম।” প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মঙ্গলের প্রাচীন নদী বদ্বীপ জেজেরো ক্রেটারে নামে Perseverance রোভার। প্রাচীন আনুবিক্ষণিক প্রাণের সন্ধানে তার এই মিশন। ল্যান্ডিং টিমের দায়িত্বে থাকা আল চেন জানিয়েছেন, “এই ভিডিও এবং ছবিগুলি আমাদের স্বপ্নের অংশ।”
এই রোভার আগামী দুবছর মঙ্গলে শুকিয়ে যাওয়া বদ্বীপে প্রাণের খোঁজ চালাবে। ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে সেই বদ্বীপে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা খুঁজে বের করতে পাথর খুঁড়ে দেখবে এই রোভার। এক দশকের মধ্যে সেই নমুনা পৃথিবীতে ফেরত আসবে। ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচে এই মিশনের জন্য নাসা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ২৫টি ক্যামেরা রোভারে বসিয়েছে। এর আগে কিউরিওসিটি যে সমস্ত ছবি পাঠিয়েছিল ২০১২ সালে, সেগুলি অধিকাংশই উন্নতমানের চিল না। এখনও মঙ্গলে কাজ করছে ওই যান।
আগামী বসন্তে Perseverance-এর মতো চিনও নিজেদের রোভার মঙ্গলে নামাবে। সেটি দুসপ্তাহ আগে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। উল্লেখ্য, লালগ্রহে সফল অবতরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাসার রোভার Perseverance মঙ্গলের রঙিন ছবি পাঠায় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। অত্যাধুনিক এই মহাকাশ যানে ২৫টি ক্যামেরা এবং দুটি মাইক্রোফোন রয়েছে। মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার পরই একাধিক ছবি তুলে পাঠায় Perseverance। আর সেই শুক্রবার ছবি প্রকাশ করে নাসা। কীভাবে লালগ্রহে অবতরণ করেছে রোভার, তার ছবি পাঠিয়েছে। এমন ছবি এর আগে কোনও মহাকাশ যানই তুলে পাঠাতে পারেনি। এবার ভিডিও প্রকাশ করল নাসা।