বিশ্ব মহিলা দিবসের আগেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ঘোষণা করে, পরবর্তী মহাকাশ অভিযান এক্সপেডিশন ৫৯,আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেস ওয়াক করবেন শুধুমাত্র মহিলা মহাকাশচারীদের একটি দল। নাসার মহাকাশচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন এবং ক্রিস্টিনা কোচ আগামী ২৯ মার্চ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে হাঁটবেন, যা ইতিহাসে এই প্রথম হতে যাচ্ছিল । কিন্তু সোমবারেই নাসা জানায় যথাযথ স্পেসস্যুট না থাকার কারণে তারা এই অভিযান স্থগিত রাখছেন।
আরো পড়ুন মহাকাশে ইতিহাস, শুধু মহিলা নভশ্চরদের নিয়ে নাসার প্রথম স্পেস ওয়াক
আগামী ২৯ মার্চ এক্সপেডিশন-৫৯ মহাকাশ অভিযানে ক্রিস্টিনা কোচের সাথে থাকবেন আমেরিকার নিক হগ,ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের ব্যাটারি বদলে এবার ক্রিস্টিনাকে সাহায্য করবেন তিনি।
এএফপি সূত্রে পাওয়া নাসার বিবৃতিতে জানা যায়, গত সপ্তাহে স্পেস স্টেশনে কাজ করার সময় মহাকাশচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন বুঝতে পারেন যে তার স্পেসস্যুটের উপরিভাগটি মাপের দিক থেকে উপযুক্ত নয়। ২৯মার্চের মধ্যে একটিই মাঝারি আকারের 'টরসো' বানানো সম্ভব হবে যেটি ক্রিস্টিনা পরবেন।
জনসন স্পেস সেন্টারের মুখপাত্র ব্র্যান্ডি ডিন এই বিষয়ে বলেন, আইএসএসে থাকা স্পেসস্যুটগুলিকে প্রতিটি মহাকাশচারীর দেহের মাপ অনুযায়ী বানানো হয়। মিডিয়াম-লার্জ-এক্সট্রা লার্জ এই তিন রকম মাপের স্পেসস্যুট এই মুহূর্তে আইএসএসে আছে।
একটি ঐতিহাসিক মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা বাতিল হওয়ার ব্যাখা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটি মাথায় রেখে নাসা পরবর্তীতে মহাকাশচারীদের ট্রেনিং এর সময় ব্যবহৃত স্যুটের মাপ অনুযায়ী স্পেসস্যুট করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণেও স্পেসওয়াকের সময় মহাকাশচারীদের স্যুটের মাপের পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
১৯৯৪ থেকে শুরু হওয়া এই স্পেসওয়াকে এখনো পর্যন্ত হয় শুধুমাত্র পুরুষেরা কিংবা মহিলা- পুরুষ মহাকাশচারীরা গেছেন। এখনো পর্যন্ত হওয়া ২১৪টা স্পেসওয়াকে মাত্র চারবার মহিলা মহাকাশচারীরা একসঙ্গে অভিযানে পা মিলিয়েছেন।
মহাকাশচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন এবং ক্রিস্টিনা কোচ দুজনেই নাসার ২০১৩ -এর অ্যাস্ট্রোনট ক্লাসে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সে বছর ৬১০০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছিল সব মিলিয়ে। প্রশিক্ষিতদের মধ্যে ৫০ শতাংশই ছিলেন মহিলা।
Read the full story in English