সূর্যের খুব কাছে পাড়ি পার্কারের

দ্য পার্কার সোলার প্রোব ডেল্টা ৪ রকেটে চেপে পাড়ি দিয়েছে সূর্যের উদ্দেশে। ইতিমধ্যে দুটি ক্ষেত্রে প্রথমস্থানে নাম রেখেছে এই মহাকাশ যানটি। একত প্রথম সূর্যগামী, দ্বিতীয় কোনো বিজ্ঞানীর নামে নামকরণ করা হল মহাকাশযানের।

দ্য পার্কার সোলার প্রোব ডেল্টা ৪ রকেটে চেপে পাড়ি দিয়েছে সূর্যের উদ্দেশে। ইতিমধ্যে দুটি ক্ষেত্রে প্রথমস্থানে নাম রেখেছে এই মহাকাশ যানটি। একত প্রথম সূর্যগামী, দ্বিতীয় কোনো বিজ্ঞানীর নামে নামকরণ করা হল মহাকাশযানের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
The United Launch Alliance Delta IV Heavy rocket launches NASA's Parker Solar Probe to the Sun

রাত ৩টে বেজে ৩১,ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপন করা হয় মহাকাশ যানটিকে।

সূর্যের আশেপাশে যাওয়ার কথা ভাবতেও কেউ পারেননি এতদিন। কারণ শুধুমাত্র সূর্যের তাপমাত্রা। যা মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু গলিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এবার সেই অসম্ভবকেও জয় করতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা। মিশন সূর্যকে ছুঁয়ে দেখবে তারা। গত রবিবার নাসা সফলভাবে সূর্যের দিকে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে।  আশা করা হচ্ছে নাসার এই প্রথম অনুসন্ধান মহাকাশ যান সম্ভাব্য সূর্যের সবচেয়ে কাছের পয়েন্ট পর্যন্ত পৌছে যাবে।

Advertisment

publive-image যাত্রার শুরুতেই গতি ছিল ঘন্টায় ৪৩,০০০ মাইল ( ৬৯,০০০ কিলোমিটার )।

দ্য পার্কার সোলার প্রোব ডেল্টা ৪ রকেটে চেপে পাড়ি দিয়েছে সূর্যের উদ্দেশে। ইতিমধ্যে দুটি ক্ষেত্রে প্রথমস্থানে নাম রেখেছে এই মহাকাশ যানটি। একত প্রথম সূর্যগামী, দ্বিতীয় কোনো বিজ্ঞানীর নামে নামকরণ করা হল মহাকাশযানের। ১৯৫৮ সালে ইউজিন পার্কার প্রথম সৌর ঝড়-ঝঞ্ঝার ব্যাখ্যা করেন।  নাসা বিজ্ঞানীদের মতে দ্রুততম মহাকাশযান,যা সর্বোচ্চ গতিতে পৃথিবী ছাড়ল সূর্যের উদ্দেশ্যে। এটি প্রতিকূল পরিবেশে, আগুনের গোলায় বারংবার বিস্ফোরনের মুখে প্রথম রোবোটিক যন্ত্র হিসাবে চিহ্নিত করবে।

Advertisment

রাত ৩টে বেজে ৩১,ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপন করা হয় মহাকাশ যানটিকে। যাত্রার শুরুতেই গতি ছিল ঘন্টায় ৪৩,০০০ মাইল ( ৬৯,০০০ কিলোমিটার )। তবে সূর্যে গিয়ে নামবে না, ৪৩০,০০০ mph অতিক্রম করে সূর্য থেকে ৩৯ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান করবে। যেখানে ইস্পাত রাতারাতী গলে যেতে পারে।

নাসা জানিয়েছে শনিবার রাতে লঞ্চের আগে প্রোবে সমস্যা থাকায় ৪৫ মিনিট দেরি হয়। প্রোব গিয়ে খোঁজ নেবে সূর্যের ঝড়-ঝঞ্ঝা ও তাপমাত্রার প্রভাব।

publive-image কোনো বিজ্ঞানীর নামে নামকরণ করা হল মহাকাশযানের।

প্রোজেক্টের মহাকাশ বিজ্ঞানী নিকি ফক্স জানিয়েছেন "আমরা যাচ্ছি যেখানে কোনো মহাকাশযান আগে কখনও যেতে সাহস করেনি - সূর্যের আলোকমণ্ডলের মধ্যে,"

পার্কার প্রায় সাত বছর ধরে সূর্যের ২৪টি কক্ষপথকে অতিক্রম করে পৌছে যাবে সূর্যের কাছে। আশা করা হচ্ছে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ ১৫ মিলিয়ান মািল অতিক্রম করে যাবে। হেলিয়াস ২ মহাকাশ যান ১৯৭৬ সালে সূর্যের দিকে ২৭ মিলিয়ান মাইল এগিয়ে ছিল। সৌরঝড়, ও সূর্য থেকে অনবরত আয়নিত কণার স্রোত মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ছে, তার প্রভাব, এই সবকিছু পর্যবেক্ষন করার জন্য পাঠানে হয়েছে প্রোবকে। চৌম্বক ক্ষেত্র, সৌর-বাতাসের গতি এবং বায়ু কণার ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা পরিমাপ করবে যন্ত্রটি।

ডিভাইসগুলি ৪.৫ ইঞ্চির কার্বন-কম্পোজিট দিয়ে আবরণ করা আছে। যা ২,৫৫০-ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকেও সুরক্ষিত থাকতে পারবে। সফরের বাকি সময়ে ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রায় রাখা হবে যন্ত্রপাতি গুলিকে।