ইতিহাস গড়ল নাসা। সূর্যের এত কাছে এই প্রথম পৌঁছল কোনো মহাকাশযান। গনগনে আগুনের পিন্ডটিকে কাছাকাছি থেকে দেখার সাক্ষী রইল পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের রহস্য উন্মোচনের উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা করেছিল মহাকাশযানটি। সোমবার এক বিবৃতিতে নাসা জানায়, ২৯ অক্টোবর পার্কার সোলার প্রোব টিমের হিসাব অনুযায়ী মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২৬.৫৫ মিলিয়ন মাইল দূরে ছিল। এর আগে অনেকবারই সূর্যের কাছে যাওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মান-আমেরিকান হিলিওস ২ মহাকাশযানটি ১৯৭৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম রেকর্ডটি করে সূর্যের নিকটতম স্থানে পৌছে। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল নাসা।
আরও পড়ুন: সূর্যের খুব কাছে পাড়ি পার্কারের
পার্কার সোলার প্রোবের মিশন অগ্রগতির হাল দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে, মহাকাশযানটি কয়েকদিন বাদে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙ্গে দিতে পারবে, এবং ২০২৪ সালে সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩.৮৩ মিলিয়ন মাইল দূরত্বে অবস্থান করবে। মনে করা হচ্ছে, এর চেয়ে বেশি সূর্যের কাছে যেতে পারবে না পার্কার সোলার প্রোব।
মেরিল্যান্ডের লরেলের জন্স হপকিন্স অ্যাপলায়েড পদার্থবিদ্যা ল্যাবরেটরির প্রকল্প পরিচালক অ্যান্ডি ড্রিজম্যান বলেন, "পার্কার সোলার প্রোব যাত্রা শুরু করার ৭৮ দিন পর এতটা কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে।" তিনি আরও বলেন, "এটি দলের জন্য খুব ভলো মুহূর্ত, আগামীকাল থেকে আমরা সরাসরি সূর্যের মুখোমুখি বিরাজ করব।" পার্কার সোলার প্রোব দলটি নিয়মিতভাবে NASA-র ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক বা DSN ব্যবহার করে মহাকাশযানের নির্ভুল গতি এবং অবস্থানকে পরিমাপ করে চলেছে।
নভেম্বর মাসের ৫ তারিখ প্রথম হিসেবমত নিকটতম বিন্দুতে গিয়ে পৌঁছবে মহাকাশযানটি। নাসা বলে, "মহাকাশযানটি অতিরিক্ত তাপ এবং বিকিরণ অবস্থার মুখোমুখি হতে শুরু করেছে, যা পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহয্য করবে আদৌ মানুষ পৌঁছতে পারবে কিনা। কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীদের এই একটা প্রশ্ন বিভ্রান্ত করে চলেছে, বলাই বাহুল্য।" আগামীকাল সফলভাবে প্রায় ১,৫০০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করবে পার্কার।