আবিষ্কার হওয়া দুই গ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের উপরিতল এবড়ো খেবড়ো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সুপার আর্থ তার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৬.৩ দিন। হট আর্থ তাদের সূর্যকে ১১ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে ফেলে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল এক দূরবীক্ষণ যন্ত্র। পোশাকি নাম ট্রান্সিস্টিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট বা টেস। মাত্র ৫ মাস হল, কাজ শুরু করেছে টেস। আর এর মধ্যেই যা একখানা তথ্য এনে দিয়েছে, রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে বিজ্ঞানী মহলে। বলে কিনা, পৃথিবীর বাইরেও আছে খান দুই পৃথিবী।
Advertisment
হ্যাঁ, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে দু খানা নতুন গ্রহের খোঁজ পেল নাসার টেস টেলিস্কোপ। এদের মধ্যে একটিকে বলা হচ্ছে 'সুপার আর্থ', অন্যটির নাম 'হট আর্থ'। পৃথিবী থেকে সুপার আর্থের দূরত্ব কত? ৪৯ আলোক বর্ষ। হট আর্থ আরও বেশ খানিকটা দূরে। ৬০ আলোকবর্ষ। আমাদের সৌরজগৎ-এ না, এদের সংসার অন্য কোথাও।
আপাতত ওই দুই গ্রহের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকায় প্রাণের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন মাহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তবে খুব শিগগির আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হতে পারে, আশায় রয়েছেন টেস-এর ডেপুটি সায়েন্স ডিরেক্টর সারা সিগার। টেস-এর মাধ্যমে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজার খানেক গ্রহ আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে, জানিয়েছে নাসা কর্তৃপক্ষ। 'সুপার আর্থ' কিমবা 'হট আর্থ' কিন্তু আকারে আয়তনে পৃথিবীর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
আবিষ্কার হওয়া দুই গ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের উপরিতল এবড়ো খেবড়ো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সুপার আর্থ তার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৬.৩ দিন। হট আর্থ তাদের সূর্যকে ১১ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে ফেলে।