মঙ্গলে বয়ে যাওয়া বাতাসের শব্দ রেকর্ড করে পাঠালো ইনসাইট। শুত্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাব এই অপার্থিব হাওয়ার শব্দ প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। অল্প কম্পাঙ্ক সহ বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ প্রথম সপ্তাহতেই সংগ্রহ করেছে ইনসাইট। এবং সেই থেকেই বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রতি ঘন্টায় ১৬ থেকে ২৪ কিলোমিটার গতিতে হাওয়া বয়ে যায় মঙ্গলে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রথম মঙ্গলের শব্দ শুনলো মানবসভ্যতা।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির ডন বনফিল্ড সাংবাদিকদের বলেন, "গ্রীষ্মকালীন বিকেলে যেমন বাতাস বয়, যদি আপনি মঙ্গল গ্রহে ইনসাইট ল্যান্ডারে বসে থাকতেন তাহলে ঠিক সেকরমই মনে হত আপনার।" প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা সম্মত হয়েছেন ওঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে মনমতো জায়গা না পেলেও আগ্নেয়গিরির স্পর্শ পেয়েছে ‘ইনসাইট’
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের থমাস পাইক বলেন, "পৃথিবীতে আমাদের যা কিছু অভিজ্ঞতা, তার চেয়ে ভিন্ন, এবং আমার মনে হয় এই সংকেতগুলি অনেক দূরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়।" সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের বায়ুর চাপের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহের বায়ুর ঘনত্ব কম এবং পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ ভূমিকম্পের তরঙ্গ শনাক্ত করতে পেরেছে ইনসাইট। তবে তার শব্দতরঙ্গ মানুষের শ্রবণশক্তির নীচে। এই শব্দের পরিসর ঠাহর করতে পারায় নাসা বায়ুর শব্দ রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৭৬ সালে ভাইকিং ল্যান্ডার জানিয়েছিল, বায়ুর বেগে কেঁপে উঠেছিল মহাকাশযান। কিন্তু সে সময় শব্দকে পরিমাপ করা হয়নি। ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের অন্যতম বিজ্ঞানী ব্রুস ব্যানডার্ড বলেন, "ইনসাইট ২৬ নভেম্বর মঙ্গলে অবতরণ করে। ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্য পাঠাতে সক্ষম হয়েছে সেটি।" এক কথায়, মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে রহস্য উন্মোচনে মজেছে মার্স ইনসাইট।
Read the full story in English