করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন জারি করার পর ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বজুড়ে অন্যতম তাত্ক্ষণিক ব্যবহৃত মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গণ্য করা হয় হোয়াটসঅ্যাপকে। কিন্তু এতেও নজর পড়েছে হ্যাকারদের। সম্প্রতি তারা হোয়াটসঅ্যাপ মারফত জালিয়াতি করার চেষ্টায় উপনীত হয়েছে বলে খবর।
WABetaInfo এর মতে, অনেক ব্যবহারকারীরা মনে করেন হোয়াটঅ্যাপের প্রযুক্তিগত দল ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পড়তে পারেন। সেইকারণেই তারা রেজিস্টরের সময় ভ্যারিফিকেশনের ৬ সংখ্যার কোড চায়। সম্প্রতি এই ধরণের ইউজারকে বিভ্রান্ত করে তাদের জালিয়াতির জালে ফাঁসাতে চাইছে স্ক্যামাররা।
হোয়াটসঅ্যাপের লোগো ব্যবহার করে, কোড যাচাই করার জন্য উত্্সাহিত করছে হ্যাকারদের। কিন্তু মনে রাখবেন, হোয়াটসঅ্যাপ সাধারণত ব্যবহারকারীদের কাছে মেসেজ মারফত পৌঁছায় না। আপনার ফোনের কোড স্ক্যামারদের হাতে পৌঁছে গেলে ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তারা। আপনার সমস্ত ব্যাকআপ ফটো ডাউনলোড করা থেকে শুরু করে যাবতীয় ফোন নম্বর ও মেসেজ তারা পেয়ে যেতে পারে।
যদি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায় বলে মনে হয় আপনার, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টটি সাইন আউট করে ফেলুন।
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ কখনই কোনও ব্যবহারকারীর সঙ্গে যাচাইকরণ কোড শেয়ার করে না। FAQ পেজে, সংস্থা জানিয়ছে, "আপনার অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখতে, হোয়াটসঅ্যাপের ভ্যারিফিকেশন কোডটি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন না ...। যদি এমন কোনো মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপের নাম করে আপনার অ্যাকাউন্টে আসে, তাহলে বুঝবেন। জালিয়াতরা আপনার অ্যাকাউন্টে নজর রাখছে। সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
Read the full story in English