/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/WhatsApp.jpg)
প্রতীকী ছবি
শুধু গোপনীয়তা নয়। নাগরিকের কোনও মৌলিক অধিকার চূড়ান্ত নয়। বুধবার এই মন্তব্য করেছে মোদী সরকার। নেটমাধ্যমে লেখালেখির উপর নজরদারি চালানোর বিধি কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ। সংবিধানে লিপিবদ্ধ নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে তারা। কিন্তু তাদের দাবি এদিন খারিজ করেছে কেন্দ্র। উলটে জানিয়েছে,সব অধিকারের উপরই যুক্তিসঙ্গত নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি।
বুধবার থেকে দেশে কেন্দ্রের ডিজিটাল নজরদারি বিধি চালু হয়েছে। যার আওতায় নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখালেখি এবং ভিডিয়োর উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলি। মূলত সরকার বিরোধী সমালোচনায় রাশ টানতেই কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ করছে। এমনটাই এযাবৎকাল অভিযোগ বিরোধীদের। বেশ কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই সেই বিধিনিয়ম কার্যকর করতে নেমে পড়েছে। তবে, এ নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের দায়ের করা মামলাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা, ‘নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। এটা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা এবং জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সরকারেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আইনি অনুশাসন অনুযায়ী, গোপনীয়তার অধিকার হোক বা যে কোনও মৌলিক অধিকার, কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। সবকিছুর উপর অল্পবিস্তর নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।’
একই সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের গলায়। তিনি বলেন, 'ভারত সরকার তাদের নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি জাতীয় সুরক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাও সরকারের কর্তব্য।
রবিশঙ্করের যুক্তি, ‘হোয়াটসঅ্যাপের উপরও কেন্দ্রের বিধিনিয়ম কার্যকর হয়। কিন্তু তাতে এই অ্যাপের বা তার গ্রাহকদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কোন বার্তা কোথা থেকে আসছে, তা জানাতে বাধ্য তারা। যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় গুরুতর অপরাধ বিচার করে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায়, তাদের শাস্তি দেওয়া যায়।‘