সূর্যকে ছুঁয়ে দেখার পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৮ সালে ১২ অগস্ট সৌর অভিযানে রওনা দেয় নাসার মহাকাশযান 'পার্কার সোলার প্রোব'। সূর্য থেকে ৩৯ লক্ষ মাইল দূর থেকে সূর্যের ঝড়-ঝঞ্ঝা দেখল নাসা।
Advertisment
সূর্য থেকে পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহের দিকে ছুটে আসা সৌরবায়ু হঠাৎই ফিরে যায় সূর্যের দিকে। তারপর, ইলেকট্রন, প্রোটনের মতো খুব ছোট ছোট কণাদের নিয়ে আসে এবং গ্রহের দিকে ছুটে যায়। এই ঘটনাটি ঘটে সৌরমণ্ডলের মধ্যেই। উল্লেখ্য, এই অবাক করা কাণ্ডকারখানা আবার সর্বক্ষেত্রে সমান নয়। কোথাও বেশি তো কোথাও কম। সৌর বায়ুকে দেখে মনে হবে কাজে রওনা দিয়ে ফেলেছে, কিন্তু খুব দরকারি জিনিস নিতে ভুলে গেছে। তড়িঘড়ি ফিরে গিয়ে তা নিয়ে এসে পুনরায় গ্রহদের দিকে যাত্রা শুরু করছে। বিজ্ঞানীরা এটিকে সৌরবায়ু 'মতিভ্রম' বলে ব্যাখ্যা করছেন। এর গতিবেগ প্রায় সেকেন্ডে ৯০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার। তাপমাত্রা থাকছে ১০ লক্ষ ডিগ্রি কেলভিন। এতদিন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন সৌরবায়ুর অভিমুখ একই দিকে, কিন্তু সেই তথ্য ভুল প্রমাণিত করল পার্কার সোলার প্রোব।
সূর্যের আশেপাশে যাওয়ার কথা ভাবতেও কেউ পারেননি এতদিন। কারণ শুধুমাত্র সূর্যের তাপমাত্রা। যা মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু গলিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এবার সেই অসম্ভবকেও জয় করতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা। তারা জানিয়েছে, সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সৌরবায়ু। ঘুরতে ঘুরতেই সূর্যের কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসছে গ্রহ ও উপগ্রহের দিকে।
পার্কার সোলার প্রোব জানিয়েছে, সূর্যের কাছে অনেকটা এলাকা জুড়ে কোনো ধুলোবালি নেই। বিজ্ঞানীরা যাকে ‘ডাস্ট-ফ্রি জোন’ বলে মনে করছেন। কেন নেই ধুলিকণা? বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সূর্যের তাপ এতটাই যে এই এলাকায় নেই কোনো মহাজাগতিক ধূলিকণা।