Smart phone Security: স্মার্টফোন এখন আর কেবল কল করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ব্যাংকিং বিবরণের মতো ব্যক্তিগত তথ্যের মতো অনেক কিছুই মোবাইলেই সেভ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ফোনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে ফোনের সিকিউরিটির জন্য পিন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নাকি ফেস আনলক কোনটি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো সে সম্পর্কে জানাতে চলেছি।
মোবাইল ফোনে আজকালকার দিনে এক অন্যতম পার্সোন্যাল গ্যাজেট। স্মার্টফোনে এখন ব্যাঙ্কিং ডিটেল থেকে শুরু করে আধার, প্যান, নেটব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড সবকিছুই সেভ থাকে। পাশাপাশি থাকে অনেক ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি। তাই সবাই ফোনের সিকিউরিটির দিকটি সবসময় মাথায় রাখা উচিত। শক্তিশালী নিরাপত্তার জন্য, কেউ কেউ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং কেউ আবার ফেস আনলক ব্যবহার করেন আবার কেউ কেউ পিনের মাধ্যমে ফোনকে লক করে রাখেন। কিন্তু এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে, কোনটি সবচেয়ে শক্তিশালী সিকিউরিটি প্রদান করে? আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন বিশদে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
ইউজাররা ফোন লক করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করে থাকেন। কারণ সেন্সরটি ফোনটি দ্রুত আনলক করে কিন্তু শক্তিশালী নিরাপত্তার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর একটি ভালো বিকল্প নয়। এটা ঠিক যে প্রতিটি আঙুলের ছাপ অনন্য, কিন্তু এটা অস্বীকার করা যাবে না যে ঘুমন্ত অবস্থায় বা অচেতন অবস্থায় সেন্সরে আঙুল রেখে যে কেউ আপনার ফোন খুব সহজেই আনলক করতে পারে।
ফেস আনলক
ফেস আনলক প্রযুক্তিতেও প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 2D ফেসিয়াল রিকগনিশন সহ সেন্সরগুলিকে সহজেই 'বোকা' বানানো যায়। কিন্তু 3D স্ক্যানিং সহ স্মার্টফোনগুলিতে (আইফোন) এই ঝুঁকি অনেকটাই কম।
পিন কোড
ফেস আনলক এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াও, কিছু মানুষ পিন কোডও ব্যবহার করে। পিন কোড ব্যবহার করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আনলক ব্যবহারের চেয়ে বেশি নিরাপদ, কারণ আপনার আঙুল বা মুখের স্বীকৃতি চুরি করে পিন কোড জাল করা যাবে না।
একটু জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে ফোনের নিরাপত্তা শক্তিশালী রাখা যায়। বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, বিশেষ ক্যারেক্টর এবং সংখ্যা - একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ডে এই সমস্ত বিষয়ই থাকা উচিত, যাতে কারও পক্ষে পাসওয়ার্ড ব্রেক করা সহজ না হয়।