Advertisment

Planet Nine: সৌরজগতের সম্ভাব্য নবম সদস্য নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ

২০১৫ সালে ডার্ক এনার্জি সারভে নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট করতে গিয়ে এই নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যকে প্রদক্ষিন করলেও সৌরজগতের বহিঃর্ভুত গ্রহ হিসাবে একে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
planet-nine

প্ল্যানেট নাইন

কুইপার বেল্টের সাহায্যেই তৈরি হয় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি

Advertisment

পৃথিবীর চেয়ে দশ গুন বৃহৎ সৌরজগতে একটি সম্ভাব্য নতুন গ্রহের অস্তিত্ব আগেই সন্দেহ করেছিলেন মহাকাশচারীরা। বর্তমানে একটি গবেষক দল তার সন্দেহের অবসান ঘটিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের এই নতুন সদস্যের নাম দিয়েছেন প্ল্যানেট নাইন। গত কয়েক বছর ধরে এর ওপর গবেষনা চালিয়ে যাওয়ার পর উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা এই গ্রহটি নেপচুনের ঠিক পিছনেই রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৫ সালে ডার্ক এনার্জি সারভে নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট করতে গিয়ে এই নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও সৌরজগতের বহিঃর্ভুত গ্রহ হিসাবে একে চিহ্নিত করা হয়েছিল। নতুন সদস্য হিসাবে নাম হয়েছিল ২০১৫  বিপি৫১৯। এখন অবধি প্রকাশ্যে আসা তথ্যের ওপর নির্ভর করে জানা গেছে যে প্ল্যানেট নাইন সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মত বিশালায়তন কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে চলেছে সূর্যকে। অন্যান্য কক্ষপথ থেকে ৬ ডিগ্রী হেলে রয়েছে এই নতুন সদস্য গ্রহ, এবং বর্তমান আটটি গ্রহের থেকে ৫৪ ডিগ্রী হেলে রয়েছে প্ল্যানেট নাইন।

ইংরেজিতে পড়ুন, Planet Nine: নতুন তথ্য সামনে এলেও প্রামাণ্য নয়

মিশিগান ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ছাত্রী জুলিয়েট বেকার জানান যে তাঁরা সব সময় নজর রাখেন সৌরজগতের ওপর। প্ল্যানেট নাইন নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে এই মুহুর্তে। ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কনস্টেনটিন ব্যাটিজেন এবং মাইকেল ব্রাউন জানান কুইপার বেল্টের মাধ্যমে প্রাথমিক সূত্রে প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছিল। সৌর ব্যবস্থার বাইরের অংশে বরফের ধ্বংসাবশেষের বিস্তৃত ক্ষেত্র কুইপার বেল্টের অসমন্বয়ের জন্য দায়ী হতে পারে যুক্তি দিয়ে গ্রহের অস্তিত্বের ক্ষেত্র তৈরি করে। সৌরজগতের বাইরে বাকি ক্ষেত্রে বরফ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বছরই এই প্রোজেক্টের অন্য একটি দল প্ল্যানেট নাইন সম্পর্কে ব্যক্ত করে তাদের মতামত।

ব্যাটিজেন এবং ব্রাউন সন্দেহ করছেন এই গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি তৈরি হয় কুইপার বেল্টের সাহায্যে। তাদের সর্বশেষ আবিষ্কার সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ব্যাটিজেন ইমেলে জানান প্রথম এখনও সনাক্তকরণে শান্তি মেলেনি, চলছে গবেষনার কাজ। তবে এই প্রমান যথেষ্ট নয় প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে। কতদিনে তা সম্ভব জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বর্তমানে গবেষনার কাজে এক শতাংশ এগোনো গেছে, প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হল এটি সরাসরি সনাক্ত করা। অর্থাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তোলা। তবে এই টুকরো টুকরো প্রমান বাকি গবেষণায় সাহায্য করবে।

Advertisment