Advertisment

নিষেধাজ্ঞায় দমল না 'টিকটক', বরং ভারতে ১oo কোটির বিনিয়োগের সম্ভাবনা

ভারতে ব্যবসা করার জন্য আশাবাদী 'টিকটক' জন্মদাতা 'বাইটডান্স'। আগামী তিন বছরে ভারতে ব্যবহৃত টিকটকের ওপর ১ বিলিয়ন খরচ করতে চলেছে সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

'টিকটক'এর জন্য বন্ধ ভারতের প্রবেশদার। তাতেও দমল না তারা। এখনও ভারতে ব্যবসা করার জন্য আশাবাদী 'টিকটক' জন্মদাতা 'বাইটডান্স'। আগামী তিন বছরে ভারতে ব্যবহৃত 'টিকটক'এ ১০০ কোটি খরচ করতে চলেছে সংস্থা।

Advertisment

টিকটক একা নয়, বাইটডান্স-এর তৈরি অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম যেমন হেলো এবং ভিগোর মত কিছু অ্যাপ এখনও ভারতে বহাল তবিয়তে রয়েছে। 'বাইটড্যান্স', সফটব্যাঙ্ক, জেনারেল আটলান্টিক, কে কে আর, সিকোয়া বিনিয়োগকারীর সঙ্গে জোট বেঁধে রমরমিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল।

পিটিআইকে বাইটডান্স-এর ডিরেক্টর হেলেনা লার্স বলেন, গত কয়েক মাসে কোম্পানি তার বিষয় বস্তুকে নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাপের নিয়মবিধিকে শক্তিশালী করেছে।

আরও পড়ুন: অশ্লীলতার দায় মানতে নারাজ টিকটক কর্মকর্তারা

তিনি আরও বলেন, "আমরা অবশ্যই বর্তমান ঘটনার জন্য হতাশ, কিন্তু আমরা খুব আশাবাদী , আগামীদিনে সমস্যার সমাধান করব। আমরা আমাদের ভারতীয় ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে কারণে আমরা ভারতে পরবর্তী তিন বছরে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চাই,"।

গতবছর শেষেও, ভারতে 'টিকটক' এর জন্য প্রায় ১০০০ জন কর্মচারী ছিল। গানের সঙ্গে নেচে বা সংলাপে ঠোঁট নেড়ে অভিনয় করার মত, 'টিকটক' অভিনব ভাবনা চিন্তা নিয়ে এসেছিল অ্যাপ দুনিয়ায়। এই মুহূর্তে ভারতে ১২০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

পর্নোগ্রাফি এবং অনুপযুক্ত অশ্লীল সামগ্রী রয়েছে টিকটক অ্যাপে। যা ভারতে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। এমনই কিছু অভিযোগ আসায় ভারতে এই অ্যাপকে নিষিদ্ধ করার জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্ট ৩ এপ্রিল কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল।

আদালতকে মান্যতা দিতে কেন্দ্র গুগল ও ‌‌অ্যাপেলকে ডাউনলোড বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। উল্লেখ্য, যাদের কাছে এই ‌অ্যাপ রয়েছে তারা অনায়াসে এখনও ব্যবহার করতে পারবেন।

হেলেনা লার্স বলেন, "আমরা, একটি সংস্থা হিসাবে, স্থানীয় আইন মেনে চলি, কিন্তু আমরা সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত হতে চাই। টিকটক অ্যাপের বিষয়বস্তুকে সামাল দেওয়ার জন্য ভারতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। গত বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০ শতাংশ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল টিকটক অ্যাপে"।

Read the full story in English

Advertisment