/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/09/stress-during-pregnancy-2025-07-09-16-11-55.jpg)
গর্ভাবস্থায় মায়ের এই একটি অভ্যাস শিশু মনে 'খারাপ' প্রভাব ফেলে, জন্ম নিতে পারে 'ভীতু' সন্তান
stress during pregnancy: গর্ভাবস্থা এক মহিলার জীবনের অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়। এই সময়ে মায়ের শরীর ও মনের সুস্থতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তার প্রভাব পড়ে গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর উপরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ (Mental Stress) শুধু মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, শিশুর মানসিক ও আচরণগত বিকাশেও প্রভাব ফেলে।
প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সামরা মাসুদ তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- "গর্ভবতী মায়ের উপর চিৎকার, অপমান বা মানসিক চাপে রাখা মানেই শিশুর ভবিষ্যৎ স্বভাব ও আচরণে নেতিবাচক ছাপ ফেলে দেওয়া।"
১০ বছর ধরে চিকিৎসকরা যা পারলেন না, করে দেখালো ChatGPT! হল রোগের সঠিক নিরাময় !
স্ট্রেস হরমোনে বাড়ে ঝুঁকি
ডাঃ সামরা জানান,
যখন গর্ভবতী মহিলা মাসনিক চাপে থাকেন, তাঁর শরীরে 'কর্টিসল' সহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন প্লাসেন্টার মাধ্যমে সরাসরি গর্ভের শিশুর শরীরে পৌঁছায়। এর ফলে, শিশুর নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। শিশু পরবর্তীতে হতে পারে ভীতু, খিটখিটে বা আক্রমণাত্মক স্বভাবের।
কেন গুরুত্ব দিতে হবে মানসিক সুস্থতায়?
গবেষণা বলছে:
- মায়ের দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ শিশুর জন্ম-পরবর্তী আচরণে প্রভাব ফেলে
- শৈশবে শিশুর আত্মবিশ্বাস হ্রাস, ঘন ঘন রাগ বা উদ্বেগের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- এমনকি শিশুর শিক্ষাগত উন্নতিতেও প্রভাব পড়তে পারে ভবিষ্যতে
- গর্ভবতী মায়ের মানসিক শান্তি নিশ্চিত করতে পরিবার ও স্বামীর সহানুভূতিশীল আচরণ অপরিহার্য
- পারস্পরিক সমর্থন, ভালোবাসা ও সম্মান— এই সময়ে সবচেয়ে বড় ওষুধ
কাউন্টডাউন স্টার্ট, HP থেকে Dell প্রিমিয়াম ল্যাপটপে ধুঁয়াধার ধামাকা
স্বাস্থ্যকর খাদ্য, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শের পাশাপাশি মানসিক স্বস্তি মায়ের ও শিশুর উভয়ের সুস্থতার জন্য জরুরি। চিকিৎসক আরও ব্যাখ্যা করেন যে গর্ভাবস্থায় যদি মা বারবার বা দীর্ঘ সময় ধরে চাপের মধ্যে থাকেন, তাহলে এটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে । ডাঃ মাসুদ বলেন, গবেষণা অনুসারে, গর্ভাবস্থায় যদি মা দীর্ঘ সময় ধরে চাপের মধ্যে থাকেন, তাহলে তা শিশুর মেজাজের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের শিশুরা পরবর্তীতে আরও উদ্বিগ্ন, ভীত বা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।