Advertisment

নির্মূল হবে ক্যানসার, অভিনব আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের

নির্দিষ্ট একটি ব্যাকটেরিয়া ও ল্যাকটেট জাতীয় একটি রাসায়নিক যৌগকে একসঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলতে পারি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অভিনব আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করিয়ে সারানো যাবে কোলন ক্যানসার, এমনটাই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটউট অফ সায়েন্স এড়ুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার)’-এর একদল বিজ্ঞানী। শরীরের ঝিমিয়ে পরা প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলার পরই ক্যানসার নির্মূল করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রতিরোধী ব্যবস্থাই ক্যানসারের আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে পারে।

Advertisment

আইসার তিরুপতির জনা পনেরো বিজ্ঞানী এই থেরাপি আবিষ্কার করে তার নাম দিয়েছেন ‘প্রোবায়োটিক থেরাপি’। যা ইতিমধ্যে সারা ফেলেছে আন্তর্জাতিক স্তরে চিকিৎসকমহলে। এক সংবাদ সংস্থা থেকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে স্বর্ণপদক জিতেছে এই আবিষ্কার।

আরও পড়ুন: জন্মের আগেই জন্ম! বিরল চিকিৎসায় সুস্থ বাংলার ঋদ্ধিস্মিত

প্রত্যেক বছর যতজন মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় দশ শতাংশের জন্য দায়ী কোলন ক্যানসার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের এই রোগ বেশি হয় বলে জানাচ্ছেন ডাক্তার মহল।

আরও পড়ুন: ‘ভ্যানিস’ ফোর্থ স্টেজের ক্যান্সার, নজির গড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

প্রোবায়োটিক থেরাপির গবেষক ভবেশ কুমার ত্রিপাঠি বলেছেন,“আমাদের গবেষণা কোলন ক্যানসারের নিরাময়ের বিষয়টি প্রমাণ করেছে। থেরাপিটি বাস্তব সম্মত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে এই গবেষণা যথার্থ সার্থকতা পাবে। আমরা পশুর শরীরে ব্যবহার করে এই থেরাপির পর্যবেক্ষণ চালিয়েছি এবং সফল হয়েছি।" তিনি আরও বলেন, “নির্দিষ্ট একটি ব্যাকটেরিয়া ও ল্যাকটেট জাতীয় একটি রাসায়নিক যৌগকে একসঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলতে পারি। আমরা দেখেছি সেই প্রতিরোধী ব্যবস্থাই ক্যানসারে আক্রান্ত কোষগুলিকে মেরে ফেলছে ও ক্যানসারকে দেহে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেবে।’’

আরও পড়ুন: নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ঘোর বিপদ

অন্য গবেষক মেঘা মারিয়া জ্যাকব সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত কোষে থেকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত কোষগুলিকে আলাদা ভাবে চেনা যায়। এদের চিকিৎসক মহলে 'স্পেশাল মার্কার’ বলা হয়। এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত কোষেকে সহজে চিনতে পারে। কোষগুলিকে বেঁধে রাখে এই ব্যাকটেরিয়া। এছাড়া শরীরে যে ল্যাকটেট প্রবেশ করানো হয় তা ক্যানসার কোষকে আকৃষ্ট করে। এই সময় ব্যাকটেরিয়ার শরীর থেকে বেরিয়ে আসবে এমন এক রাসায়নিক যৌগ যা শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থা বাড়িয়ে তুলবে।’’

kolkata
Advertisment