ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম জিও মার্ট কে উন্নত করার লক্ষ্যেই মূলত ফেসবুক রিলায়েন্সের জোট। এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে খুব সম্ভবত, জিও মার্ট হোয়াটসঅ্যাপ বিসনেজ ফিচার ব্যবহার করে স্থানীয় স্টোর ও গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে চায়।
Advertisment
বুধবার ফেসবুক ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ঘোষণা করেছে তারা সোশাল নেটওয়ার্কে ৪৩,৭৫৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে জিও প্ল্যাটফর্মের ৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে চায়। ফেসবুক ৪.৬২ লক্ষ কোটি টাকা জিও প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করছে। এরপর ফেসবুকের ভারতীয় ভায়েস প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহান বলেন, "এই চুক্তি মারফত তারা করোন ভাইরাসের জেরে ভারতে লকডাউন জারি করার পর ছোট ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে, এবং তারা যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, মূলত তাদের সহায়তা করতেই এই পদক্ষেপ"।
তিনি আরও বলেন," এখন বিভিন্ন এলাকা খুঁজে বের করতে হবে। ব্যবসার জন্য নতুন দরজা খুলতে চলেছে। মূলত ছোট ব্যবসায়কে সহায়তা করার জন্য এই জোট। ভারতে প্রায় ৬ কোটি ছোট ব্যবসা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এতে গ্রাহকদের সঙ্গে দোকানদারদের সংযোগ স্থাপন হবে। কেনাকাটি আরও সহজ হবে"।
রিলায়েন্স জিওর স্ট্র্যাটেজি প্রধান আনুশুমান ঠাকুর বলেন: “আমরা যখন কোভিডের পরবর্তী সময়ে পৌঁছাব তখন অর্থনৈতিক অবস্থাকে পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা সকলেই প্রচেষ্টা করব। তাই এখন এই চুক্তি একেবারে যথাযথ।"
ঠাকুর এই চুক্তিটিকে "দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব" মনে করেন। ফেসবুক রিলায়েন্সের বৃহত্তম অংশীদার হবে।
বর্তমানে ১ কোটির বেশি ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। তবে এখনও ছাড়পত্র পায়নি হোয়াটসঅ্যাপ পে। রিলায়েন্সের কাছে জিও মানি রয়েছে।
তবে, ঠাকুর স্পষ্ট করেছিলেন যে বিনিয়োগ বা অংশীদারি বা সহযোগিতার অর্থ এই নয় যে সংস্থাগুলি (ফেসবুক এবং জিও) বাজারে প্রতিযোগিতা বন্ধ করবে। এমন সময় আসবে যখন আমরা সরাসরি একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করব।
যার অর্থ ছাড়পত্র পাওয়ার পরে, হোয়াটসঅ্যাপ পে সরাসরি জিও মানির এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। এছাড়াও, জিওতে এমন বার্তাবাহক রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।