ভারতের ধনী ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষ স্থানে যে মুকেশ আম্বানি, তা অজানা নয়। সম্প্রতি রিলায়েন্সের টেলিকম পরিষেবাকেও সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন আম্বানি। ২০২১ সালে সাবসক্রাইবারের সংখ্যায় ও পরিষেবার তালিকায় প্রথমস্থানে রাজ করবে জিও, এমনটাই মনে করছেন সানফোর্ড সি বার্নস্টাইন এবং সহ বিশ্লেষক ক্রিস লেন এবং স্যামুয়েল চেন।
নেটওয়ার্ক পরিষেবা শিল্পে, জিওর প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড এবং ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড। ১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা যায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জিওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাকিরাও বিনামূল্যে ভয়েস পরিষেবা ও ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বিএসএনএল-কে বঞ্চিত করে জিওর সুবিধে করা কেন? সারা ভারত ধর্মঘটে কর্মীরা
জিওর যাত্রা শুরু করেছিল বিনামূল্যে ভয়েস কল পরিষেবা দিয়ে। যার ফলে ভারতে মোবাইল নেটওয়ার্কিং পরিষেবাগুলির মধ্যে এরপ্রকার মূল্যযুদ্ধের সৃষ্টি হয়। কম দামে বেশি সুবিধা দেওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। ফোর জি পরিষেবার সঙ্গে আনলিমিটেডের প্রবণতা শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। ২০১৭ সালের তথ্য বলছে প্রায় ২২৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী জিওর সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌছে গেছে সংযোগ। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কলিংয়ের সুবিধা ব্যবহার করে বিদেশে যোগাযোগও কম খরচে সম্ভব হয়েছে। এর ফলে দেউলিয়া হয়ে গেছে এয়ারসেলের মত কিছু টেলিকম সংস্থা। যেকারণে একত্রিত হয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া। পাশাপাশি হ্রাস পেয়েছে এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা।
টেলিকম বিশেষজ্ঞ বার্নস্টাইন লিখেছেন, জিও তার গ্রাহকদের সহজে ফোর জি সুবিধা দিতে জিওফোন বিক্রি চালিয়ে যেতে চায়, ফোনটি কেনার সময় যে পরিমাণ টাকা নেওয়া হবে সে পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত জিও ফোন সেরার তালিকার শীর্ষ পৌছবে। বার্নস্টেইন বলেন, ২০২০ সালে 3G/4G দাম ধীর গতিতে বাড়বে বা পরিস্থিতি এরকমই থাকার সম্ভাবনা কম।
বিএসএনএল জাতীয় টেলিকম সংস্থার এক অন্যতম কর্মকর্তার দাবি “প্রতিযোগী পরিষেবাদের সরিয়ে ভবিষ্যতে চড়া দামে একচেটিয়া বাজার করতে চায় রিলায়েন্স জিও। মোদী সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আড়ালে রিলায়েন্স জিওকে সাহায্য করছে।” তিনি আরও বলেন "ডিজিটাল ইন্ডিয়া নির্মাণে একটি বেসরকারি পরিষেবাকেই সুবিধে দেওয়া হয়ে চলেছে। যার জেরে মুখ থুবড়ে পড়ছে সমস্ত ভারতীয় টেলিকম পরিষেবা। রিলায়েন্স জিওর প্রতি সরকারের যে একচোখোমির জন্যই ভারতে ব্যবসা করতে পারছে না তাবড় তাবড় টেলিকম পরিষেবা।”
Read the full story in English