ভারতী এয়ারটেল প্রথম টেলিকম অপারেটর যারা ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াই-ফাই কলিং পরিষেবা চালু করেছে। পরিষেবাটি গত মাসেই ঘোষণা করা হয়। এয়ারটেলের পর বর্তমানে রিলায়েন্স জিও ভিডিও ও ভয়েসের কলিং এর জন্য লঞ্চ করল ওয়াই-ফাই পরিষেবা। জিও কয়েক মাস ধরে দিল্লি এনসিআর সহ বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি ব্যবহারকারীর সঙ্গে ওয়াই-ফাই কলিং পরীক্ষা করেছে। তবে রিলায়েন্স জিও জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের জন্য সদ্য চালু হয়েছে এই নতুন পরিষেবা।
আরও পড়ুন:বিএসএনএলে ব্যবহার করুন ঝড়ের গতি নেট, একবার রিচার্জে ৯০দিন নিশ্চিত
এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং পরিষেবাটি এখনও শুধুমাত্র এয়ারটেল এক্সট্রিম ব্রডব্যান্ড পরিষেবাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সংস্থা থেকে জানান হয়েছে, এয়ারটেল ওয়াইফাই কলিং অন্যান্য নেটওয়ার্কের সঙ্গেও কাজ করবে। তবে জিও জানিয়েছে, জিও ফাইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় জিও ওয়াইফাই।
আরও পড়ুন:চালু হল, কিন্তু কেমন করে ব্যবহার করবেন জিও ওয়াইফাই কলিং?
ওয়াইফাই ব্যবহারকারীদের অধিক সময়ের জন্য ভয়েস / ভিডিও কলিংয়ের অভিজ্ঞতা দেবে। ওয়াকিবহালরা মনে করছেন, ভিওএলটিই থেকে অনেকেই জিও ওয়াই-ফাইয়ের দিকে ঝুঁকবে। জানুয়ারি মাসের ৭ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশ জুড়ে সমস্ত জিও ব্যবহারকারীদের জন্য জিও ওয়াই-ফাই কলিং পরিষেবা চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: আপনি এয়ারটেল গ্রাহক, জেনে নিন কীভাবে ওয়াইফাই কলিং এর সুবিধা পাবেন?
জিও ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে এয়ারটেল ওয়াইফাইয়ের পার্থক্য কোথায়? জিও ওয়াইফাই যেকোনো ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করবে। চলতি ১৫৫ টি হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে জিও ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এয়ারটেল শুধুমাত্র ২৫টি হ্যান্ডসেটের সঙ্গে কার্যকর হবে। ওয়াইফাই মারফত জিও ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল করতে পারবেন। কিন্তু এয়ারটেলে তা সম্ভব নয়।
ওয়াইফাই কলিং কী?
ওয়াইফাই কলিং পরিষেবা মূলত গ্রাহকদের কোনও দূরবর্তী স্থানের কোনও ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। যার মারফত কল করা যাবে। জিও বলেছে, ওয়াই-ফাই কলিং প্রতি মিনিটে কলগুলির জন্য অর্ধেক এমবি ডেটা খরচ হবে। যা খুবই কম।
Read the full story in English