মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন দ্বীপের চেয়ে তিনগুণ বড় বিশ্বের সবচেয়ে বড় 'উদ্ভিদের' সন্ধান পেয়েছে অষ্ট্রেলিয়ান গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে এই উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে বুধবার । জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই উদ্ভিদের শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। তারা নির্ধারণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে সাগরের নিচে যে বিশাল উদ্ভিদ রয়েছে সেটি আদতে একটি একক উদ্ভিদ। যা প্রায় ১৮০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। বয়স প্রায় ৪৫০০ বছর ।
বিশাল এই উদ্ভিদ অন্তত সাড়ে চার হাজার বছর ধরে একটি মাত্র বীজ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এটা আসলে সি-গ্রাস বার সামুদ্রিক ঘাস, যা প্রায় ১৮০ বর্গ কিলোমিটার বা ৭৬ বর্গ মাইল জুড়ে অবস্থিত বলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন। তাঁরা আরও জানান, "অষ্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে সাগরের নীচে যে বিশাল 'উদ্ভিদ' রয়েছে তা আদতে সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো"।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরের শার্ক বে এলাকায় হঠাৎ করেই এই উদ্ভিদের সন্ধান পান গবেষকরা। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এলিজাবেথ সিনক্লেয়ার বলেছেন, "আমরা যখন তথ্যটি ভালভাবে দেখেছিলাম তখন আমরা বেশ অবাক হয়েছিলাম এবং মনে হয়েছিল যে সবকিছুই একটি উদ্ভিদের অন্তর্গত"।
গবেষণার তথ্য তাদের চমকে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন গবেষণার প্রধান লেখক জেন এজেলো। সেখানে মাত্র একটি উদ্ভিত ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'মাত্র একটি উদ্ভিদ হাঙ্গর উপসাগরে ১৮০ কিলোমিটারেরও বেশি বিবিস্তৃত হয়ে এটিকে পৃথিবীর বৃহত্তম পরিচিত উদ্ভিদে পরিণত করেছে'।
তিনি আরও বলেন সাগর সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে এই উদ্ভিদকুল বেড়ে উঠেছে। তারা যোগ করেছেন যে উদ্ভিদের প্রজনন ক্রিয়াকলাপের লক্ষণগুলিও "অবিস্মরণীয়" কারণ এটি তেমন ফুল বা বীজ হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে উদ্ভিদের আপেক্ষিক প্রাচুর্য থেকে বোঝা যায় যে এরা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল এবং অভিযোজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের অসিস্ত্ব টিকিয়ে রাখতেও সক্ষম যা বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও একক উদ্ভিদকে টিকে থাকতে সাহায্য করবে।