কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারবিরোধী এমন ১২০০ টুইটার হ্যান্ডেলকে বন্ধ করার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সেই নোটিসের ২৪ ঘণ্টা বাদেই পাল্টা কেন্দ্রকে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানাল, তাদের কাছে কর্মীদের নিরাপত্তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, “সরকারের সঙ্গে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয়ে প্রাথমিক আলাচনা হয়েছে। তবে কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিই নিয়েই বেশি চিন্তিত আমরা।”
প্রসঙ্গত, কৃষকদের আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ১২০০ টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে নোটিস পাঠায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ১২০০ অ্যাকাউন্টের নতুন তালিকা টুইটারকে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের আবেদন, "ভারতে হয় এই অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক করা হোক বা সাসপেন্ড করা হোক। গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে দেখেছে এই অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে খলিস্তান-পন্থীদের যোগ আছে কিংবা পাকিস্তানের মদত আছে।" ওই তালিকা পাঠিয়ে আরও আবেদন করা হয়েছে, "তালিকাভুক্ত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। কৃষক আন্দোলনের পক্ষে প্ররোচনামূলক তথ্য পেশ করা হচ্ছে।"
কিন্তু এই একের পর এক টুইটার অ্যাকাউন্ট বনধ করার ফলে রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে টুইটারের কর্মীদের। কেন্দ্রের সঙ্গেও সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মাইক্রোব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কোনওরকম চাপ নিতে রাজি নয় কর্তৃপক্ষ। সরকারের দলদাস তকমা দেওয়া হচ্ছে টুইটারকে, যার জেরে নিজেদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কৃষকদের সমর্থনে তৈরি প্রায় ১০০-র বেশি টুইটার অ্যাকাউন্টকে সাময়িক ভাবে বন্ধ করার পথে হাঁটে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
গত সোমবার ১০০টি টুইটার হ্যান্ডেল এবং কৃষক আন্দোলনের পক্ষে ১৫০-র বেশি টুইট আচমকা উধাও হয়ে যায় মাইক্রোব্লগিং সাইট থেকে। টুইটার কর্তৃপক্ষকে আইটি আইনের ৬৯এ ধারায় এগুলি সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় মন্ত্রক।