সুপ্রিম কোর্টের কাছে টিকটক ডাউনলোড নিষিদ্ধ করার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকা জারি করে মাদ্রাসা হাইকোর্ট। সোমবার মাদ্রাজ হাই কোর্টের সেই মামলার কোনো রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। মাদ্রাসার হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চের দাবি টিকটক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি এবং অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে। যে কারণে তারা টিকটক অ্যাপকে নিষিদ্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল নির্ধারত করা হয়েছে। এটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকা এবং মামলাটি আদালতের সামনে নির্ধারিত দিনের আগেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যে কারণে ফের পিছিয়ে দেওয়া হয় শুনানির দিন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল।
টিকটকে মজেছে গোটা বিশ্ব। গান, মজার মজার সংলাপে অভিনয় করে সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে মাহির নেটপাড়ার একাংশ। এই দলে ভিড়েছে তারকারাও। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও অ্যাপটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তামিলনাড়ুর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এম মণিকন্দন বলেছিলেন, রাজ্যে টিকটক বন্ধ করতে কেন্দ্রের সাহায্য চাই। ঠিক তার দু-মাস পরেই নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে কেন্দ্রকে। বিচারপতি এন কিরুবকরন ও এস এস সুন্দরের ডিভিশন বেঞ্চ নিষেধাজ্ঞা আবেদনের কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, ভারতের সংস্কৃতির অপব্যবহার করা হচ্ছে। আবেদনে বার বার বিষয়টিকে 'বিপদজনক' বলে তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতে আসেনি সেভেন সিরিজ, এরই মধ্যে আপকামিং ফোনের ঘোষণা রেডমির
"টিকটক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অনেকে অপসংস্কৃতির শিকার হয়েছেন। দেখা গেছে এই অ্যাপের মাধ্যমে কোথাও শিশুদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এমনকী, ভিডিওতে মশকরা সহ্য করতে না পেরে গত বছর এক ব্যক্তি আত্মঘাতীও হয়েছিলেন। যে নির্দেশ কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেখানে মুম্বাইয়ে ১৭ বছরের একজনের আত্মহত্যার কারণকে উদ্ধৃতি করে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাইবার শিকারে পরিণত হওয়ার আগেই, 'শিশু অনলাইন গোপনীয়তা আইন' পাস করেছে। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, এই আইন ভারতেও বলবৎ করার প্রয়োজন রয়েছে। যেভাবে ব্লু হোয়েল গেম নিষিদ্ধ হয়েছে, সে ভাবেই টিকটক নিষিদ্ধ হোক, দাবি একাংশের।
Read the full story in English