নিতান্তই ক্লিশে হয়ে আসা ইংরেজি প্রবাদ বাক্যটা সত্যি প্রমাণিত হল আরও একবার। নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অব ইনভেনশন। মানুষের একার পক্ষে যন্ত্রের মতো সুনিপুণ দক্ষতার সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করা সম্ভব হছহিল না বলে আবিষ্কার হল রোবট। রোবটের আবিষ্কারের পর বোঝা গেল তারও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। আবেগ নেই, নেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। সে সব সীমাবদ্ধতা দূর করতে এবার চলে এল যুগান্তকারী প্রযুক্তি। আপনি আংশিক ভাবে হয়ে যেতে পারবেন রোবট, আংশিক ভাবে থাকতে পারবেন সশরীরেই। আর এভাবেই চলে যেতে পারবেন মঙ্গল গ্রহে। অবশ্যই ঘুরতে নয়। অবশ্য তাও ঘটতে পারে অদূর ভবিষ্যতে।
তবে আপাতত দুধরণের কাজে ব্যবহৃত হবে এই প্রযুক্তি। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে, যেখানে পরিবেশ অনুকূল নয়, ইচ্ছে মতো রোবটের চামড়া লাগিয়ে নিতে পারবেন মহাকাশচারীরা। রোজকার ব্যবহারের সব জিনিসকেও রোবটে পরিণত করা যাবে এই প্রযুক্তিতে।
আরও পড়ুন, ওয়েটার যখন রোবট, সৌজন্যে নেপালের রেস্তোরাঁ
মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথ ভাবে তৈরি করেছেন এমন প্রযুক্তি। সায়েন্স রোবোটিকস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণাপত্র। রোবটের এই চামড়া তৈরি করা হয়েছে ইলাস্টিক পাত ব্যবহার করে। এর সঙ্গে থাকে সেন্সর এবং অ্যাকচুলেটর। মানুষের চামড়ার ওপর বসানো থাকলে তো একরকম। তা ছাড়া কী অবস্থায় থাকে এই রোবোটিক চামড়া? আকৃতি ঠিক রাখার জন্য অন্য সময়ে এর ভেতর ঢুকিয়ে রাখা হয় ফোম।
রোবোটিক স্কিন প্রযুক্তি প্রসঙ্গে ইয়েল বিস্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ক্রেমার বতিজিলো জানিয়েছেন, "মহাকাশ গবেষণায় খুব কাজে লাগবে এই প্রযুক্তি। যেখানে পরিবেশ মানুষের জন্য প্রতিকূল, এই চামড়া লাগিয়ে নিলেই হলো"।