Cut Down on Electricity Bills: আমরা অনেক সময় ইলেকট্রিক বিল কমাতে বড় যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করার চেষ্টা করি। কেউ ফ্রিজ কম খোলেন, কেউ এসি চালান কম সময়ে, কেউ আবার ফ্যান অফ করে দেন ঘরে না থাকলে। কিন্তু আমরা প্রায়ই উপেক্ষা করি একটি ছোট অথচ কার্যকর ডিভাইস— সুইচবোর্ডের ইন্ডিকেটর লাইট।
ইন্ডিকেটর কীভাবে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়?
প্রতিটি ইন্ডিকেটর লাইট, যা সুইচবোর্ডে (Switchboard) থাকে, দিনে ২৪ ঘন্টা জ্বলে। ভারতে সাধারণত ১০টি সুইচবোর্ড থাকলে এই সূচকগুলি প্রায় ৭২ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে প্রতিদিন। প্রতি সূচক ঘণ্টায় ০.৩ থেকে ০.৫ ওয়াট বিদ্যুৎ নেয়।
সাধারণভাবে আমরা মনে করি এটা তেমন কোনও খরচ নয়, কিন্তু বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায়:
- ৭২ ওয়াট × ৩০ দিন = ২১৬০ ওয়াট (বা ২.১৬ কিলোওয়াট) প্রতি মাসে
- ১ ইউনিট বিদ্যুৎ = ৭ টাকা ধরলে → মাসে প্রায় ১৫ টাকা-২০ টাকা শুধু ইন্ডিকেটরেই খরচ!
আরও পড়ুন- প্রতি কিলোমিটারে খরচ মাত্র ১০ পয়সা! সস্তা সেরা স্কুটারে একচার্জে জয়নগর to জগন্নাথ ধাম
কীভাবে সমাধান সম্ভব?
-
সাধারণ এলইডি ইন্ডিকেটরের পরিবর্তে লো পাওয়ার কনজাম্পশন ইনডিকেটর ব্যবহার করুন।
-
সেন্সর-চালিত ইন্ডিকেটরও পাওয়া যায়, যেগুলো শুধু পাওয়ার অন হলে জ্বলে।
-
ইন্ডিকেটর খুলে ফেলেও ব্যবহার করা যায় (বিশেষ করে যেখানে প্রয়োজন নেই)।
আরও পড়ুন- ডিস্ক ব্রেক, ১২৫ সিসি ইঞ্জিন, জানুন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ৫ সেরা স্কুটার কোনগুলি?
ইন্ডিকেটরের অতিরিক্ত ব্যবহার কেন ক্ষতিকর?
এছাড়াও, ইন্ডিকেটর সারাক্ষণ জ্বলে থাকলে অনেক সময় বোঝা যায় না কবে বাড়িতে ভোল্টেজ ওঠানামা করছে। এতে ইনভার্টারের লোড ও সুইচ অন-অফ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক ইন্ডিকেটর না থাকলে ঝড় বা ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনে আপনার ফ্রিজ, টিভি বা ওভেন পুড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- নামে কিউট, ডিজাইনও মন মাতানো! জলের দরে এবার মধ্যবিত্তের স্বপ্নপূরণ!
ইলেকট্রিক বিল বাঁচানোর আরও কিছু টিপস:
-
দিনের আলোয় লাইট বন্ধ রাখুন
-
ইনভার্টার ফ্রেন্ডলি এলইডি লাইট ব্যবহার করুন
-
পুরোনো ফ্যান বা মোটর বদলে দিন এনার্জি এফিশিয়েন্ট মডেল দিয়ে
-
গিজার, হিটার ও হেভি মেশিনারি ব্যবহারে সময়-সীমা মেনে চলুন
আরও পড়ুন- হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের থেকেও কম দামে গরমে পান দুর্দান্ত কুলিং, ফিচার-স্টাইলে নজর কাড়বেই!
ছোট ছোট জিনিস উপেক্ষা করার ফলে আমাদের বিদ্যুৎ বিল অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেড়ে যায়। সুইচবোর্ডের ইন্ডিকেটর তেমনই একটি উদাহরণ। একটু সচেতন হলেই আপনি প্রতি মাসে কিছু টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন এবং বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে পারবেন। আজই ঘরের সুইচবোর্ডগুলো দেখে নিন— হয়তো আপনার বিল কমানোর রহস্য লুকিয়ে আছে সেখানেই!