কৃষক আন্দোলনের জেরে সংঘাত তীব্র হচ্ছে কেন্দ্র ও টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে। মার্কিন মাইক্রোব্লগিং সাইটের উপর বেজায় ক্ষিপ্ত কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ চরম হুঁশিয়ারি দেন টুইটারকে। বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।’’ টুইটারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এই সোশ্যাল সাইটের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রকের সচিব অজয় প্রকাশ। তাঁর অভিযোগ, "অভিব্যক্তির স্বাধীনতা প্রসঙ্গে দ্বিচারিতা করেছে টুইটার। ক্যাপিটল হিলের হিংসা প্রসঙ্গে এক অবস্থান আর লালকেল্লা হিংসা নিয়ে আরেক অবস্থান। আর এখানেই অভিব্যক্তির স্বাধীনতা নিয়ে দ্বিচারিতা।" এমন কড়া ভাষায় টুইটার কর্তাদের সামনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তথ্য-প্রযুক্তি সচিব। এদিন মন্ত্রকের সঙ্গে টুইটারের ভার্চুয়ালি প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে।
এদিন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রসাদ বলেন, দয়া করে হিংসা, দ্বেষ এবং ভুয়ো তথ্য ছড়াবেন না। দয়া করে ভারতের সংবিধান এবং আইনকানুন মেনে চলুন। নাহলে কড়া পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। উল্লেখ্য, টুইটার প্রসঙ্গে একটা বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা, ‘আমাদের সচিব সরকারের অসন্তোষের কথা টুইটারকে বলেছে। #farmergenocide নামে যে হ্যাশট্যাগ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটি সরাতে ঢিলেমি করেছে টুইটার। সে ব্যাপারেও আপত্তি জানানো হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানের ১৯ ধারায় অভিব্যক্তির স্বাধীনতা দেওয়া থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "অভিব্যক্তির স্বাধীনতার অপব্যবহার করে বিকৃত ও প্ররোচনামূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই প্রচারের ভধ্যে কোনও খবর প্রকাশের স্বাধীনতা বা অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ নেই। সেই কনটেন্ট নিয়ে আপত্তি তুলে টুইটারকে নোটিস পাঠালেও, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।"