দু-দশকের পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রায় শেষ। এগিয়ে এসেছে যাত্রার সময়কাল। লাস্ট মিনিট প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ২৭ মে বিকেল ৪.৩৩ বাজলেই মাটি ছাড়বে ফ্যালকন ৯ রকেট। স্পেস এক্স ড্রাগন ক্যাপসুলের যাত্রী থাকবে দুজন মহাকাশচারী-বব্ বেনকেন ও ডগ হারলে। গন্থব্যস্থল কক্ষপথ।
ইতিহাসের পাতায় খোদাই করা আছে ১৯৬১ সালের কক্ষপথে ইউরি গ্যাগরিনের ভ্রমণ কথা। ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রংগের 'প্রথম ছোট্ট পদক্ষেপে'র বিবরণ। স্পেসএক্সের আগামী উত্্ক্ষেপণ সেই স্তরে না পৌঁছাতে পারলেও এটা প্রথম প্রদক্ষিণ হবে। যা ব্যাক্তিগত মহাকাশ যান নিয়ে মহাকাশচারী কক্ষপথে যাত্রা করবে ।
মহাকাশ বিশ্লেষক লুইজি পেলুসো বলেন, “ বাণিজ্যিক মহাকাশযানে দুটি মানুষ মহাকাশে গিয়েছে এমন ঘটনা হয়নি। এটি প্রথমবার। ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী হবে পৃথিবী। বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার তীব্রতার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। তাদের কেবল নিরাপদে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার বিষয় নয়, তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষানিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করতে হয়েছে।
মানুষ অন্য গ্রহে বসবাস করবে। এই চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে ২০০২ সালে উঠে পড়ে লেগেছিল স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পস। স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলের কেবল ইতিমধ্যে স্পেস স্টেশনে নিয়মিত যাতায়াত করে।
করোনাভাইরাসের কামড়ে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রভাবিত হয়েছেষ। মূলত বলা চলে বিপুল হারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘরবন্দী থাকাকালীনই মানুষকে অনলাইন মারফত দেখতে হবে স্পেসএক্সের উত্্ক্ষেপণ। ২৭ মে পরিস্থিতি সঙ্গ না দিলে ৩০ মে দুপুর ৩.২২ মিনিটে উত্্ক্ষেপণ করা হবে।