রোমাঞ্চকর মহাজাগতিক গবেষণায় নতুন অধ্যায় রচনা করল নাসা। গত শনিবার, গর্জন করে পৃথিবীর মাটি ছেড়ে উড়ে গেল Sapce X এর তৈরি বিশেষ মহাকাশযান। এক যুগ পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মহাকাশে নভশ্চর পাঠানোর ক্ষমতাকে আবার প্রকাশ্যে নিয়ে এলো।
দুজন মহাকাশচারী-বব্ বেনকেন ও ডগ হারলে ৩০ মে দুপুর ৩.২২ মিনিটে পৃথিবীর মাটি ছেড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণের উদ্দেশ্যে পারি দেয়। প্রথম বেসরকারি সংস্থা, যারা মানুষকে মহাকাশে পাঠানোর রকেট তৈরি করেছে। ফ্যালকন ৯ এক মধ্যে একটি বুলেটের মত দেখতে ক্যাপসুলের মধ্যে আছেন তাঁরা। অ্যাপোলো মহাকাশ বিজ্ঞানীদের যে লঞ্চ প্যাড থেকে মহাকাশ পাঠানো হয়েছিল সেখান থেকেই পাঠানো হল এই বিশেষ মহাকাশযানকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সম্প্রতি মহাকাশযানটি সফল ভাবে পৃথিবী পদক্ষিণের কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে।
লঞ্চের আগে হারলে বলেন, লেটস লাইট দিস ক্যান্ডেল। ১৯৬১ সালে প্রথম আমেরিকা যখন স্পেস ফ্লাইট পাঠিয়েছিল, তখন অ্যালেন সেপার্ডও একই শব্দ উচ্চারণ করেছিল। শনিবার সেই ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিয়েছে ডগ হারলে।
রবিবার তাদের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। এরপর সেখান থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। একদিকে করোনা ভাইরাসের দাপটে মৃত্যু মিছিল, অন্যদিকে সাদা চামড়ার পুলিশের হাতে মৃত্যু এক কালোচামড়ার ব্যাক্তি,সেই ঘটনায় উত্তাল দেশ এরই মাঝে নাসার সফল উত্্ক্ষেপন। যা গড়ল নতুন মাইলস্টোন।
নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ মানুষের মনোবলকে শক্ত করবে, এগিয়ে যেতে সাহস দেবে। আমেরিকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য সামান্য দেরি হলেও, স্থগিত করেনি। কারণ, তাদের চোখে ছিল উজ্জবল ভবিষ্যত ও জ্বলজ্বলে সেই বিরল মুহূর্তে দেখার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা। তাই টলামাটাল পরিস্থিতিতেও তারা থেমে ছিল না।
Welcome aboard the @SpaceX Crew Dragon spacecraft!
In this video from space, @AstroBehnken and @Astro_Doug reveal the name of their capsule: Endeavour. Take a look inside as the crew continues their journey to the @Space_Station: https://t.co/K9S5mejONx pic.twitter.com/mvH8UhE5FW
— NASA (@NASA) May 31, 2020
এখন বব্ বেনকেন ও ডগ হারলে মহাকর্ষণের বাইরে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
ডেমো ২ মিশনের কারণ কী
মূলত পৃথিবী থেকে স্পেস স্টেশন যাতায়াত করার মহাকাশযান তৈরি করা হয়েছে। ডেমো ২ সফল হলে আগামীদিনে ৪ বিজ্ঞানী ও ২২০ পাউন্ডের কার্গো পাঠাতে পারবে স্পেস স্টেশনে। সেখান থেকে ফিরে আসতে পারবে। সম্প্রতি এই ক্রিউ ড্রাগন স্পেস ক্রাফ্ট স্পেস স্টেশনে গিয়ে পৌছাবে। স্পেস স্টেশনে ১১০ দিন সময়ের মধ্যে পুনরায় ক্রিউ ড্রাগন স্পেস ক্রাফ্টকে প্রস্তুত করে পৃথিবীতে পাঠানো হবে। ফ্লোরিডার সমুদ্রে এসে অবতরণ করবে। এই লঞ্চ সর্বশেষ পরীক্ষার জন্য করা হয়েছে। এখানে দেখা হবে, আগামী দিনে বিজ্ঞানী ছাড়া অন্য কোনো মানুষকে স্পেসস্টেশনে পাঠানো সম্ভব কিনা।
Read the full story in English