/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/24/SKFsyrcxpmBqNSYcU0bW.jpg)
স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা শীঘ্রই ভারতে চালু হতে চলেছে।
Starlink coming to India soon: ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা শীঘ্রই ভারতে চালু হতে চলেছে। ২০২৫ সালের মে মাসের শুরুতেই ভারতের সরকারের কাছ থেকে এই পরিষেবার জন্য সরকারি অনুমোদন (green signal) পেয়েছে স্টারলিংক। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে উপলব্ধ এই ইন্টারনেট পরিষেবা। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও লো লেটেন্সিতে হাই-স্পিড ইন্টারনেট সরবরাহ করে চলেছে স্টার লিংক।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক সম্প্রতি ভারত সরকারের থেকে সবুজ সংকেত (green signal) পেয়েছে। বর্তমানে স্টারলিংক বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে পরিষেবা দিচ্ছে এবং তাদের লক্ষ্য হল শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে লো লেটেন্সি সহ হাই-স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে স্টার লিংকের হাইস্পীড ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি হতে পারে ৩,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা। স্টারলিংকের মূল সুবিধা হল এটি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে (LEO) অবস্থানকারী হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে।
৩০,০০০ টাকার মধ্যে অসাধারণ ডিল! হুড়মুড়িয়ে দাম কমল ল্যাপটপের, সেরার তালিকাটা দেখে চমকে উঠবেন
এটি এমন সব এলাকায় কার্যকরী যেখানে ফাইবার অপটিক বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে পারে না।
- স্টার লিঙ্ক চালুর ফলে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবায় বিপ্লব আসতে চলেছে
- গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা সহজেই ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।
- পাহাড়ি বা উপকূলীয় এলাকা যেখানে মোবাইল/ফাইবার কানেকশন দুর্বল সেখানেও মিলবে হাইস্পীড ইন্টারনেট।
- যাদের জরুরি পরিস্থিতিতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দরকার
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি অফিস যেখানে নির্ভরযোগ্য ব্যাকআপ দরকার সেখানেও স্টার লিংক ইন্টারনেট কার্যত বিপ্লব আনবে।
স্টারলিংকের আসা ভারতের ডিজিটাল কানেক্টিভিটিকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিতে পারে। যদিও এর প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি, তবে দুর্বল নেটওয়ার্কের এলাকায় এটি হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।এখন সকলের নজর রয়েছে, কবে নাগাদ এটি বাণিজ্যিকভাবে ভারতজুড়ে চালু হবে।
বাজার করতে করতেই সেট করুন ফ্রিজের তাপমাত্রা! অত্যাধুনিক রেফ্রিজেরেটর লঞ্চে হুলস্থূল ফেলল LG
এলন মাস্কের স্পেসএক্স মালিকানাধীন স্টারলিংক সম্প্রতি ভারত সরকারের কাছ থেকে LoI (Letter of Intent) পেয়েছে, যা কোম্পানিটিকে দেশের মধ্যে স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবা চালুর অনুমতি দেয়। তবে এর আগে IN-SPACe (Indian National Space Promotion and Authorisation Centre) এবং স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রয়োজন।
স্পেসএক্স সফলভাবে ২৩টি নতুন স্টারলিংক স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। এই স্যাটেলাইটগুলি স্টারলিংকের V2 Mini সিরিজ-এর অন্তর্ভুক্ত।এই উৎক্ষেপণটি সম্পন্ন হয়েছে স্পেসএক্সের নতুন ফ্যালকন ৯ বুস্টার রকেট ব্যবহার করে, যা স্যাটেলাইটগুলোকে নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে (LEO) স্থাপন করেছে। মোট ২৩টির মধ্যে ১৩টি স্যাটেলাইটে রয়েছে ডাইরেক্ট-টু-সেল ক্যাপাসিটি, বাকি ১০টি স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জন্য নির্ধারিত।স্পেসএক্সের লক্ষ্য মহাকাশে ৬,০০০+ স্যাটেলাইট স্থাপন করা।
সারা মাসে খরচ ৭০০ টাকা! দুর্দান্ত মাইলেজের সেরা ৫ বাইক, দেশের বাজারে যেগুলি কিনতে মানুষের ঢল....
প্রতিবেশী দেশেও চালু হয়েছে স্টারলিংক ইন্টারনেট
বর্তমানে স্টারলিংক বিশ্বের ১০৫টিরও বেশি দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করছে। সম্প্রতি, কোম্পানিটি বাংলাদেশ এবং ভুটানেও পরিষেবা সেবা চালু করেছে।
ডাইরেক্ট-টু-সেল (D2C) কী?
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা 4G বা 5G ফোন ব্যবহার করেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কল করা, বার্তা পাঠানো এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।